আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে ছুরিকাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার

ক’দিন আগে সম্মেলনে হামলা করে হেনস্থা করতে চেয়েছিলো। সম্মেলন পন্ড হলে সমালোচনা হয় ব্যাপক। এরই মধ্যে নতুন করে অঘটন ঘটলো। সোমবার ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে কে বা কারা। রাজধানীর পুরানা পল্টন বায়তুল আমান ভবনে জেলা বিএনপির বিশেষ সভা ও ইফতার শেষে বের হওয়ার পরে তার উপর হামলে পরে ৩ জন। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। গুরুতর আহত এ বিএনপি নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, মামুন মাহমুদকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, ইফতার মাহফিল থেকে বের হওয়ায় পর গাড়িতে উঠার সময় পিছন থেকে তিন যুবক এসে ছুরিকাঘাত করে মামুন মাহমুদকে। এসময় জনতার হাতে একজন ধরা পড়লেও পালাতে সক্ষম হয় অপর দুজন।
মামুন মাহমুদের উপর হামলা ও অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন লাভলু। তিনি বলেন, ইফতার মাহফিল শেষে পল্টনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর কিছু বুঝে উঠার আগেই ৩ যুবক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে।
এদিকে ঘটনার সময় মামুন মাহমুদের পাশেই ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দৈনিক সংবাদচর্চাকে মোশারফ হোসেন বলেন, সোমবার ঢাকার পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। ইফতারের পর আমি ও মামুন মাহমুদসহ আরো ২-৩জন কার্যালয় থেকে বের হই। এসময় পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা ৩ জন যুবক দৌড়ে এসে ধারালো ছুরি দিয়ে মামুন মাহমুদকে টার্গেট করেই কয়েকটি আঘাত করে। আমাদের ধস্তাধস্তি ও ডাকচিৎকারের একপর্যায়ে ওরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আশপাশের মানুষের সহায়তায় একজনকে আটক করা গেছে। তাকে পল্টন থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে তবে তাৎক্ষনিক আটক যুবকের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। তিনি জানান, মামুন মাহমুদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।