আজ বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহানগর যুবদলের ইফতার পার্টিতে সংঘর্ষ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে চাঁদা তোলার অভিযোগে অনুষ্ঠানস্থলে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরীর বরফকলে চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসি পার্কে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা যায়, আজকের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই ব্যাপক চাঁদাবাজিতে মাঠে নামেন আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসবে তাই অনেক খরচ হবে এমন অজুহাতে তারা আজকের দিন পর্যন্ত প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করে বলে জানায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকে।
ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে এমনিতেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো। তাছাড়া এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মহানগর যুবদলের ইফতার বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় যে সকল নেতাকর্মীরা এ চাঁদার বিষয়টি জানতো না তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বলে জানায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তার উপর এতো টাকা চাঁদা উঠার পরও ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত নেতাকর্মীদেরকে ইফতারের সময় খাবার দিতে না পারায় সেই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটে বলে জানা যায়। নেতাকর্মীদের অনেকে বলেন, সাবেক কাউন্সিলর ঝন্টুর ছেলে বাবুর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ মাহফিলে যোগ দেয়। কিন্তু বাবু ও তার সমর্থকদের খাবার না দেয়ায় মূলত এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তখন বাবু সমর্থকদের অনেকে বলতে থাকেন, চার লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজি করার পরও কেন খাবার শর্ট পড়বে।
এতো টাকা এখানে খরচ করা হয় নাই উল্লেখ করে তারা বলেন, নামমাত্র অর্থ খরচ করে বাকি টাকা আহবায়ক মন্তু ও সদস্য সচিব সজলের পকেটে ঢুকেছে। তা নাহলে খাবার কেন শর্ট পড়বে।

এ বিষয়ে আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, মূলত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেরীতে আসার কারণে খাবার দিতে একটু দেরী হয় এজন্যই সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। চার লাখ টাকা চাঁদা উঠানোর পরও খাবার কেন শর্ট পড়লো নেতাকর্মীদের এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো চাঁদাবাজি করি নাই। যিনি বলছে তিনি না জেনেই বলছে। আর খাবার শর্ট পড়ে নাই, দিতে দেরি হয়েছে।
মহানগর যুবদলের মতো বড় একটি সংগঠনের চাপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন আপনারা নেতাকর্মীদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যর্থ কেন হবো। এতো বড় একটা প্রোগ্রাম একটু ঝামেলা হয়েছে। একটু নয় অনেকেই মারধরের শিকার এমনটিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, হ্যা মানি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।