নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান সরকার পাট পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার এর লক্ষ্যে “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০” বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই আইনের আওতায় ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা ও তুষ-খুদ-কুড়া, পল্ট্রি ও ফিসফিডসহ মোট ১৯ (ঊনিশ) টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ উনিশটি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার মোবাইল কোর্ট অভিযান চালান হয় ঢাকার টাউন হল বাজার, মোহাম্মদপুর চালের আঁড়ত এলাকায়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে পাট অধিদপ্তর।
ঢাকা জেলার নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয় এবং মোট ০২ টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, এমপির গত ৩০ জানুয়ারীর ঘোষণা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতিকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মর্বহিভূত কাঁচাপাট মজুদ ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান করছে পাট অধিদপ্তর। কারাদন্ড, অর্থদন্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে দেশব্যাপি বিশেষ অভিযান চালু রয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দন্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ ছাড়া উনিশটি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে ব্যাংকঋণ সুবিধা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। একইসঙ্গে চাতাল মিল মালিকগণ পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খ্যাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে। পাশাপাশি আমদানি ও রফতানিকালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করবে।