নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান ও এড.তৈমূর আলম খন্দকার। কাজী মনিরুজ্জামান ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তখন তাকে রাজপথে তেমন দেখা যায়নি। রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া কর্মীরা তাকে সময় মতো কাছে পায়নি। এখন তিনি আড়াল থেকে খেলছেন। আর এড. তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনে থাকা ৫টি থানা ও ৫টি পৌরসভায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কয়েক বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সর্বশেষ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন। তারেক রহমানের নির্দেশে নাসির উদ্দিন তিনদিনের মধ্যে জেলা বিএনপির অধীনে থাকা ৫টি থানা ও ৫টি পৌরসভার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। যা একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন তিনি। এত অল্প সময়ে অতীতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কোনো নেতা এত কমিটি এক সঙ্গে অনুমোদন দেয়নি। তৈমূর আলম খন্দকার ও এ টি এম কামালকে দল থেকে বাদ দেওয়ায় আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে পাল্টে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক চিত্র।
বিএনপির সূত্র জানায়, নাসির উদ্দিনকে ৪৫ দিনের মধ্যে থানা ও পৌরসভার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য দলের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কমিটি না হওয়ায় ১৫ বছর ধরে দলে নতুন নেতৃত্ব আসছে না। আমরা আশা করছি, এবার জেলা ও থানা বিএনপির নেতৃত্বে নতুন মুখ বেরিয়ে আসবে।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। নেতাকর্মীরা অধিক সক্রিয় হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে দলের সাংগঠনিক চিত্র। যাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা আহবায়ক কমিটি নিয়ে মিথ্যাচার করছে।