আজ সোমবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘কোন বাঁধাই শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রূপগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে ১৩ ডিসেম্বর সোমবার বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিটি উপজেলা চত্বর এলাকা থেকে বের হয়ে মুড়াপাড়া এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীণ করে।

পরে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ নুসরাত জাহান । সভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুইয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমানউল্লাহ আমান, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ, উপজেলা প্রাণিজসম্পদ কর্মকর্তা রিগেন মোল্লা প্রমুখ।
এসময় নারায়ণগঞ্জ -১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। রূপগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবসে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারন করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, “কোন বাঁধাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন বাঁধাই ঠেকাতে পারেনি। বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেরই ফাঁসি হয়েছে। এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। বাকিদেরও বিচার হচ্ছে। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদর্শন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন এর মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশকে আজ অন্য বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন যে জন্য শেখ হাসিনা আজ বিশ্বপরিমন্ডলে ‘আইকনিক লিডার’ হিসেবে পরিগণিত। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। একটু ভাবুন তো, যদি শেখ হাসিনা আজ বেঁচে না থাকতেন, কোথায় থাকতো বাংলাদেশ? বঙ্গবন্ধু-কন্যা সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই উন্নয়নের রোল মডেল আজকের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে সেদিন আমরা ফিরে পেয়েছিলাম বলেই, নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছে বাংলাদেশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। খাদ্যে, বিদ্যুতে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। রূপগঞ্জও এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন।