নিজস্ব প্রতিবেদক:
অথচ একটু সামনে এগুলেই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, তা না করে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যাগ বা মালামাল নিয়ে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা রাস্তাজুড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ২নং রেল গেট এলাকায় বিজয় ভাস্কার্যের সামনে। টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা উৎসব, বন্ধন, বিআরটিসি ও বন্ধুসহ আরও বেশ কিছু পরিবহনগুলো ২নং রেল গেট আসতেই থেমে যায় চালক। পরে পুনরায় দীর্ঘক্ষণ সড়কের মাঝে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠায় তারা। যার কারণে সড়কের পরিধি কমে একটু পর পরই যানজট লাগে এখানে।
অভিযোগ রয়েছে যে, তার পাশেই আছে পুলিশ বক্স। তাদের সামনেই দিনভর সড়কের মাঝে যানগুলো থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়।
সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ১নং রেল গেট, বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৬০২১ নম্বরের বন্ধন বাসটি ২নং রেল গেট বিজয় ভাস্কর্যের সামনে আসতেই থেমে যায়, পরে এখান থেকে পুনরায় যাত্রী উঠায়। মূহুর্তের মধ্যেই একই স্থানে চলে আসে ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬০৮ নম্বরের আরও একটি উৎসব পরিবহন, একই দৃশ্য চোখে পরে এখানেও। দীর্ঘক্ষণ বাস স্ট্যান্ড করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। এমনি ভাবে প্রতি পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর পর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা অন্য সকল যান চালকদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই থেমে যেতে হয় আগে আসা পরিবহনগুলোর পেছনে। সড়কের অর্ধেক জায়গা জুড়ে সারিবদ্ধভাবে এসব যানবাহন দাঁড় করিয়ে পুনরায় যাত্রী তোলা হয়। ফলে ১নং রেল গেট থেকে ২নং রেল গেট পর্যন্ত সড়কটিতে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে এপথে চলাচলকারীরা।
এ নিয়ে পথচারী কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন পরিবহনগুলো ২নং রেল গেট আসতেই রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। নিজেদের খেয়াল খুশিমত চালকরা সড়কটিতে বাসগুলো জড়ো করে রাখে এবং পুনরায় যাত্রী তুলে এখান থেকে। কেউ হাত দেখালেই চালক বাস থামিয়ে দেয়। যার কারণে পুরো চেম্বার রোডে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
সচেতন মহলের মতে, নিয়ম হচ্ছে বাস কাউন্টার থেকে যাত্রী নিয়ে চলে যাবে, সেখানে সড়ককে কাউন্টার বানিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রী উঠানামা হচ্ছে উৎসব,বন্ধন, বিআরটিসি ও বন্ধুসহ বেশ কিছু পরিবহনগুলোতে। অথচ তার একটু সামনে রয়েছে যানজট নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্স। তারা সব দেখে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়না।