নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী বিহারী কলোনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো: শহিদ (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৭টার সময় আদমজী বিহারী কলোনী ৩ নং বালুর মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, মো: শহিদের ছেলে মো: জুয়েল (২১), মো: ভোলা মিয়ার ছেলে মো: শহিদ (৫০), মো: রুবেল ও মোসা: শিল্পী (৪০)। অভিযুক্ত সকলেই আদমজী বিহারী কলোনী ৩ নং বালুর মাঠ এলাকায় বসবাস করেন।
ভূক্তভোগী শহিদের বাবা মুন্না মিয়া জানান, আমার ছেলে গত বুধবার ঢাকা থেকে আদমজী বিহারী কলোনীতে আমার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। বেড়াতে আসার পর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় আদমজী বিহারী কলোনী ৩ নং বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় দোলারীর বাড়ির সামনে রাস্তায় চলাচলের সময় আমার ছেলের সাথে অভিযুক্তদের ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার পর আমার ছেলের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। গালিগালাজের কারন জানতে চাইলে অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো রামদা ও সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি আরও বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর আমার ছেলে মাটিতে পরে গেলে অজ্ঞাত আসামীরা আমার ছেলের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয় এবং তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে এ বিষয়ে থানা পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ভূক্তভোগীর বাবা থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।