আজ সোমবার, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে এক মন্দিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশংকা, উত্তেজনা

রূপগঞ্জে এক মন্দিরে দুই গ্রুপের  সংঘর্ষের আশংকা, উত্তেজনা

 

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে এক মন্দিরে দুই গ্রুপের কীর্ত্তন আয়োজনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কেয়ারিয়া এলাকায়। কেয়ারিয়া উত্তরপাড়া কালী মন্দির সভাপতি শীতল সরকার জানান, কেয়ারিয়া এলাকার মরন চানঁ ও লাল চানঁ ৭ বছর আগে আমাদের মন্দিরের সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে মরন চানঁ নেশা করেন ও লাল চানঁ মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূয়া কবিরাজি করে মানুষের অর্থ আত্বসাৎ করেন। মন্দির কমিটি থেকে এসব অপকর্ম ছেড়ে দিতে তাদের একাধিকবার বলা হয়। তারা তা না শুনে কেয়ারিয়া কালীমন্দির থেকে সরে গিয়ে লাল চানঁ সরকারের বাড়িতে সার্বজনীন পূজা মন্ডপ তৈরী করে গত ৭ বছর ধরে আলাদা পূজা করে আসছে। প্রতি দূর্গা পূজায় আলাদা আলাদা সরকারী বরাদ্দও দেয়া হয়। কেয়ারিয়া কালি মন্দিরে ২৪ প্রহর ব্যাপি শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞের ১৫ তম কীর্তন আয়োজন করে বর্তমান বৈধ কমিটি যা আগামি ১০ জানুয়ারী থেকে ১৪ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং আমাদের অনুষ্ঠান ভুন্ডুল করতে বর্তমানে আমাদের মন্দিরের নামে নতুন করে দাওয়াত পত্র তৈরী করে কীর্তন করার ঘোষনা দেয় লাল চানঁ, মরন চানঁ এবং তাদের সর্মথক গৌরাঙ্গ ও হরিয়ানন্দ। এমনকি তারা ঐ দাওয়াতপত্র দিয়ে চাদাঁও আদায় করছেন। এক মন্দিরে দুই গ্রুপের কীর্ত্তন আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সংঘর্ষের আশংকা করছেন। যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ ঘটনায় শীতল সরকার বাদী হয়ে লাল চানঁ ও মরন চানঁদের এ অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি গনেশ চন্দ্র পাল বলেন, শীতল সরকারদের কমিটি বৈধ কমিটি, বিষয়টি কয়েক দফা বসে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। লাল চানঁ, মরন চানঁরা শুধু ঝামেলা পাকানোর উদ্দেশ্যে ঔ মন্দিরে কীর্তন করার কথা বলছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, আগামি রবিবার উভয় পক্ষকে ডেকে এর সুষ্ঠ সমাধান দেয়া হবে।