নিজস্ব প্রতিবেদন:
টাকাতো দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু কেন এত দেড়ি করে হাজিরা তারিখ দেওয়া হচ্ছে? কেন একটি আদের্শ নিতে তারিখের পর তারিখ আসতে হচ্ছে? কেন মামলার বিচার আগায় না? এমন প্রশ্ন করায় নিজের আইনজীবীর কাছে মারধরের শিকার হয়েছে হত্যা মামলার বাদীর পরিবার।
মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি দুপুরে আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিজ আইনজীবী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে বাদীর পরিবার। তবে আইনজীবী বলছেন, ‘উল্টো সেই আমাকে মারধর করেছেন’।
হামলার শিকার আহত ভুক্তভোগীর নাম সুমন। সে মামলার বাদী মো. আফাজ উদ্দিন নাতী।
এ ঘটনায় বিচারের দাবীতে আইনজীবী সমিতির দাঁরস্ত হয়েও পাত্তা পায়নি। গিয়ে ছিলেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। সেখানে গিয়ে বিচার না পেয়ে দারস্ত হয়েছেন সাংবাদিকদের।
মামলার বাদী মো. আফাজ উদ্দিন জানান, ‘আসামী পক্ষের টাকা খেয়ে আমাদের কাজ করছে না আইনজীবী কামাল হোসেন মোল্লা। এখন বলছে, অন্য কোন আইনজীবী ধরতে।’
আফাজ উদ্দিন জানান, ২০১৯ সালের জুন মাসের ১০ তারিখ রাত ১১টার থেকে পরদিন সকাল ৯টার মধ্যে যে কোন সময় আড়াইহাজারে তার মেয়েকে হত্যা করে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালাতে চায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের কাছে দ্বারস্ত হওয়ার দেড় বছরেও মামলাটি আইনজীবীর অবহেলায় আগায়নি। তাই ৫ জানুয়ারী মামলা সর্ম্পকে তথ্য নিতে আদালতে হাজির হন পরিবারসহ।
হামলার শিকার হয়ে বাদীর নাতী সুমন বলেন, ‘টাকাতো দিচ্ছি ঠিকই। কিন্তু কেন এত দেড়ি করে হাজিরা তারিখ দেওয়া হচ্ছে? কেন একটি আদের্শ নিতে তারিখের পর তারিখ আসছে? কেন মামলার বিচার আগাচ্ছে না? জানতে চেয়ে ছিলাম। পরে আমাকেই আইনজীবী সমিতির ভবনে মারধর করেছেন। এক সময় সইতে না পেরে আমি পাল্টা একটি চড় দিলে বেশ কয়েকজন আইনজীবী মিলে আমাকে মারধর করেন।’
তবে, অভিযুক্ত আইনজীবী কামাল হোসেন মোল্লা জানান, ‘মামলাটি নারী শিশু আদালতে পরিবর্তন করার কথা ছিল। কিন্তু ভুলবসত অন্য একটি কোর্টে মামলাটি চলে যায়। আজ সেখানে শুনানী করে আদালতকে ভুল হওয়ার কথা জানিয়েছি। ওই ছেলে বলছিলো, কেন ভুল হলো। ইচ্ছে করে করছেন আপনি। গালিগালাজ করছিল। ওদের ব্যবহার অনেক খারাপ, তাই আমি চাই ছিলাম মামলাটি ছেড়ে দিতে। এক পর্যায়ে আমার উপর হাত তুলে। তখন অন্য আইনজীবীরা ব্যাপারটি দেখে ছেলেটিকে মারধর করেছেন।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মোহসিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।