সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সিদ্ধিরগঞ্জ ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’জনকে কুপিয়ে আহত করেছে রাসেল বাহিনী। কেটে ফেলা হয়েছে একজনের হাতের আঙ্গুল। ভাংচুর করেছে সরকার দলীয় অফিস। সোমবার ( ১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২’টার দিকে মিজমিজি সাহেবপাড়া পঞ্জায়েত কমিটি সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতরা হলেন, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার রুকন হাজির ছেলে রাজু (৩০) ও মাদ্রাসা রোড এলাকার কবির (২৫)।
জানা যায়, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছে রাজু। এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিতে চায় ইয়াছিন আরাফাত রাসেল ওরফে ইয়াবা রাসেল। এনিয়ে সৃষ্টি হয় বিরোধ। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে নিস্পত্তি করার জন্য রাজু ও কবির বেলা ১২ টার দিকে সাহেবপাড়া এলাকায় যায় রাসেল বাহিনীর বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে। তখন তাদের উপর হামলা করা হয়। আহত কবির জানায়, কথাবার্তার একপর্যায় বিল্লালের নেতৃত্বে কাদের, সুজন, আকবর, সুমনসহ ৬/৭’জন চাপাতি রান দা নিয়ে আমরা দুই জনের উপর হামলা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রান দা ও চাপাতি দিয়ে রাজু ও কবিরকে চারদিক থেকে ঘিরে এলোপাথারি কুপাতে থাকে। নিজেকে রক্ষা করতে তারা দৌঁড়ে পাশের ওয়ার্ড আওয়ামীলীর অফিসে প্রবেশ করে। হামলাকারিরা সেখানে গিয়েও কুপায় ও অফিস ভাংচুর করে। এসময় আহতদের আত্নচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আশলে হামলাকারিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। কুপের আঘাতে রাজুর হাতের একটি আঙ্গুল আলাদা হয়ে পড়ে। এছাড়াও দু’জনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎক জানায়, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে জানতে হামলার নেতৃত্বদানকারী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ফয়সাল জানান, কোন পক্ষই সঠিত ভাবে কিছু বলছেনা। তবে পূর্বের বিরোধ মিমাংশা করতে আসলে মারামারির ঘটনা ঘটে। দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, মারামারি খবর শোনে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।