সংবাদচর্চা রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার বিকেল। শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এক নারীকে নিয়ে দুই যুবকের টানাটানি দেখে ভিড় জমে। উপস্থিত কেউ কেউ জানতে চায়, কেন এ নারীকে নিয়ে এমনটা করছে তারা। দুই পুরুষই তখন দাবি করেন, ওই নারী তাদের স্ত্রী। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা মুহূর্তেই রূপ নেয় সংঘর্ষে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বধূ সহ দুই যুবককে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায়।
ওই নারীর নাম সুরভী। সে কেরানীগঞ্জের রজ্জব আলীর মেয়ে। প্রথম স্বামী দাবী করা আকাশ আহমেদ রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের বাসীন্দা ফারুক আহমেদের ছেলে আর দ্বিতীয় স্বামী দাবী করা মেহেদী হাসান নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
আকাশ আহমেদ জানান, ২ বছর আগে সুরভী আক্তারের সাথে বিয়ে হয় তার। কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু আল-আমিন তার সন্তান। কিছুদিন পূর্বে সন্তানসহ সুরভী পালিয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থান সনাক্ত করতে পেরে সুরভীর বাবা-মাকে নিয়ে ধরতে এসেছি।
এদিকে মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওর সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয়। এক মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের সময় আমাকে বলেছিল ওর ডিভোর্স হয়েছে। আজকে ওর আগের সংসারের লোকজন বাচ্চাকে দেখতে এসেছে। কিন্তু এখন ওই সংসারের লোকজন বলছে যে তাদের নাকি ডিভোর্স হয় নাই। তারা আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে।’
তবে সুরভী আক্তার আকাশ আহমেদকে অস্বীকার করে বলেন, ‘আকাশ আমার স্বামী না। আমি ওর সঙ্গে যাব না। আমি মেহেদীর সঙ্গে থাকতে চাই। আমি ফেরত যেতে চাই না।’ এসময় আকাশ সুরভীকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো বলেও অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা ৩ জনকেই আটক করে রেখেছি। তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।