নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ইস্পাহানী ঘাটে প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের ধাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জিসান ও নিহাল নামের ২ স্কুল ছাত্রের। গতকাল বিকেলে ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাপ দেয় ৪ বন্ধু। ২ জন সাঁতরে উঠতে পারলেও ওই দুইজন সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে স্থানীয় ডুবুরিরা জাল ফেলে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহতদের একজন বন্দরের কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র মিহাদ (১৮) অপরজন বন্দর বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র জিসান। এদিকে লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাটের আকিজ সিমেন্ট কোম্পানীর সামনে স্থানীয় কিশোরদের সঙ্গে ঝগড়া হয় জিসান ও তার ২ বন্ধুর। ওই সময় ওদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন মিহাদ। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় জিসানের কাছে যায় মিহাদ। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সেখান থেকে ধাওয়া খেয়ে নৌকায় উঠে ৪ শিক্ষার্থী। তবে নৌকার দিকে ওই কিশোর দল এগিয়ে এসে একজনের মাথায় আঘাত করে। এ দেখে নদীতে ঝাপিয়ে পরে তারা। এরমধ্যে ২ জন সাঁতরে কুলে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ওই দুই শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ জিসান বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনের ছেলে আর মিহাদ বন্দর খান বাড়ির নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে। মিহাদের আত্মীয় বন্দর প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান জানান, সোমবার বিকেলে বন্দর ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় আকিজ সিমেন্টের সামনে জিসানদের সাথে ঝগড়া হয় কিশোরদের। ওই কিশোর দল তাদের ধাওয়া দিলে তারা ঘাটে এসে নৌকায় উঠে। নৌকার দিকে কিশোর দলকে আসতে দেখে তারা নৌকা ছাড়ার আগেই নদীতে ঝাপ দেয়। পরবর্তীতে অন্যরা সাঁতরে কুলে উঠতে পারলেও জিসান ও নিহাল উঠতে পারেনি।
তাদের পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই দুই শিক্ষার্থী সাঁতার জানতো না। রাত সোয়া ১১ টার দিকে স্থানীয় ডুবুরিরা ওই দুই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে।
এ দিকে বন্দর থানার ওসি (তদন্ত )আজাহারুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ দু’জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে।