নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার মাঝেও আলীরটেক আওয়ামীলীগ নেতা ইসলামের বিরুদ্ধে সমিতির গ্রাহকের টাকা না দিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে সমিতির সাড়ে ৬শ’র বেশি গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার এ অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তিনি আলীরটেক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক আমান উল্লাহ মেম্বারের মেয়ে আসমার স্বামী। বর্তমান দিদার সুলতানের ভগ্নিপতি। এই ঘটনায় এলাকায় তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা তৈরী হয়েছে। এলাকাবাসিম প্রশ্ন জন প্রতিনিধর বোনের জামাই হয়ে তিনি কি করে এই ধরনের ন্যাক্কও জনক কাজ করেন।
এদিকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগী জামাল বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসি। আলীরটেকের সমিতির গ্রাহকরা জানান, ইসলাম মিয়া ঈদুল আযহার আগের দিন সমিতির সদস্যদের টাকা দেয়ার কথা হলেও তা না দিয়ে পালিয়ে যায়। সমিতির সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে খুজে পান না। এতে করে গ্রহাকরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রাহক জানান, আমান মার্কেট সমিতির সভাপতি হচ্ছেন জামাল হোসেন,সাধারন সম্পাদক হচ্ছেন জাকির হোসেন আর ক্যাশিয়ার ছিলেন ইসলাম মিয়া। সমিতির ৬৬৫ জন সদস্য প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে জমা দিতেন। মাসে জমা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা জমা হত। এতে প্রতি মাসে জমা (৬৬৫*২০০০) ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা হতো। তিনি আরো জানান,বছরে জমা হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। লাভ আসে আরো ৫৩ লাখ টাকা। সমিতির মোট ২ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
তার পাশে আরেক ব্যক্তি বলেন,,সমিতি ছাড়াও ডা.মিন্টুর ভাই শাহীনের ১৭ লাখ,করিমের ১৮ লাখ,জাহাঙ্গীর ভান্ডারীর ৮ লাখ, সেলিমের ৭ লাখ,কালামের ৭ লাখ,কহিনুর বেগমের ১০ লাখ টাকা সহ প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় এই আওয়ামীলীগ নেতা। এছাড়াও এলাকার অনেকের কাছ থেকে আরো প্রায় ২ কোটি টাকা সহ মোট ৪ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ইসলাম মিয়া। পাশা পাশি আমাদের আরেকটি ছোট সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিন, ও তারা মিয়া গ্রাহকদের ৩৫ লাখ টাকা আত্ম সাত করেছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতাছে। পুলিশ প্রশাসনের নজর না দিলে আরো বরড় ধরনের প্রতারনার ঘটনা ঘটতে পারে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান,সমিতির সভাপতি জামাল হোসেনের সহযোগিতায় এত টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সাহস পায় তিনি। তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেনা। পাওনাদাররা যোগাযোগ করেও পাচ্ছে না প্রতারক ইসলাম মিয়া কে।
আলীরটেক ইউপি ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও প্রতারক ইসলাম মিয়া সমন্ধি দিদার সুলতান বলেন,শুনেছি টাকা নিয়ে কিছু একটা হয়েছে। আমিও তাকে পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ইসলাম মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার বলেন,কয়েকজন মিলে ইসলামের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করেছিল। এখনো ঠিক হয় নাই। এর দায় দলের নয় ইসলামকে বহন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এবিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। কিন্তু অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থ্যা নিবো।