আজ মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এবার কে পাবেন মেয়রপ্রার্থী?

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু থেকেই হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনে এ খেলা আরও জমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে বিএনপি এবার কাকে বেছে নিবেন সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিগত দিনের প্রার্থী না-কি নতুন কেউ পাবেন ধানের শীষের মনোনয়ন তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির সমর্থন পেয়েছিলেন এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ও বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে সমানতালে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যার পর পোলিং এজেন্টদের খাবার খরচ সহ নানা কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দায়িত্বরত বিএনপি নেতাদের কাছে।

এর কয়েক ঘন্ট পর মধ্যরাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তৈমূর আলমকে ভোট থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। সে সময়ে কান্নাকাটি নানা আক্ষেপ করলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তৈমূর। তবে অভিযোগ উঠেছিলো, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় কয়েকজন নেতা কেন্দ্রের কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করে এ কান্ড ঘটিয়েছিলেন। তারা খালেদা জিয়াকে বুঝিয়ে ছিলেন, তৈমূর না সরলে শামীম ওসমানকে ঠেকানো যাবে না।

২০১৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে প্রার্থী দিয়েছিলো। তখন অভিযোগ উঠেছিলো সাখাওয়াত ওসমান পরিবার থেকে অর্থ নিয়েছে। মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু এমন কথা বলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাখাওয়াত।

এদিকে আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে নিয়ে এ আলোচনা শুরু হয়। করোনার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তিনি যেভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তা জেলা পেরিয়ে গোটা দেশ এমনকি বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। অনেকে ভাবছেন, খোরশেদ আগামীতে মেয়র নির্বাচন করবেন। দলীয় সূত্র বলছে, সাখাওয়াতও ফের মনোনয়ন চাইবেন। দলের কেন্দ্রে তার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। বিশেষ করে সাত খুনের মামলায় সাহসী ভূমিকা রাখায় তার প্রতি অনেকের দুর্বলতা রয়েছে।

এদিকে মনোনয়ন চাইবার সম্ভাবনা রয়েছে এটিএম কামালেরও। দলের জন্য অনেক কিছু করলেও এখন পর্যন্ত তাকে কোন নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির প্রার্থী ঠেকানোর জন্য বিএনপির কয়েকজন নেতা আড়ালে কাজ করেন। তাদের পছন্দ না হলে সেই প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাপ করেন। এ গ্রুপটি মাঠের রাজনীতিতে না থাকলেও টেবিল ও ড্রয়ারের রাজনীতিতে বেশ পাকা। কেন্দ্রের কিছু নেতা তাদের এ ড্রয়ার রাজনীতি পছন্দ করেন বলে জানা গেছে। তাই  এ গ্রুপকে টপকে যাওয়া খুব মুশকিল বলে মনে করে বিশ্লেষকরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ