সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নারায়ণগঞ্জে মাদকের চালান আসে। জেলার সব এলাকায় রয়েছে একাধিক মাদক স্পট। করোনা ভাইরাসে পুলিশসহ সবাই যখন অন্য কাজে ব্যস্ত তখন মাদক বিক্রেতাদের পোয়া বারো। ওরা নির্বিঘ্নে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ নিয়ে নতুন করে বোমা ফাটালেন শহরের ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়াল।
মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেছেন, ডিআইটি রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের গেটের সামনে ফকির বেশে অনেকে মাদক বিক্রি করছে। বিকাল ৩ টার পর তাদের আড্ডা চলে এখানে এদের বিষয়ে অনেক তথ্য আসছে মসজিদে। মাওলানা আউয়াল বলেন, মুসুল্লীরা এশা’র নামাজ পরে ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পরে বলে আমাকে জানিয়েছে। রাতে একদল ছিনতাইকারী থাকে এখানে। তারা মুসল্লিদের গেট থেকে ভয় দেখিয়ে মন্ডল পাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। কয়েকদিন আগে একজনের ২ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এর আগে একইভাবে আরেকজনের ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়েছে।
সূত্র মতে, ক্ষমতাবানদের শেল্টারে মাদক বিক্রি হচ্ছে। ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর রেহাজউদ্দিন সরদারের বাড়ির এলাকায় তারই এক নাতিনের ভাড়া বাড়িতে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার ইয়াং স্বামী রোজ মাদকের আখড়া বসায় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা জানান, ওই পুলিশ এক সময়ে নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। তিনি তার চেয়ে বয়সে ছোট জামতলা এলাকার এক ধনীর ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ওই যুবক পুলিশ লেখা মোটরসাইকেলে চলাচল করে। আর শেল্টার দিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের আড্ডা বসায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর অলিগলিতে মাদকের ছড়াছড়ি নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বিক্রেতারা। নগরীর টানবাজার, বাবুরাইল মোড়, ২ নম্বর রেল গেট, করিম মার্কেট, নতুন জিমখানা, গলাচিপা, দেওভোগ, আমলাপাড়া, চাষাঢ়া রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে মাদক বিক্রেতা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যেই চলে মাদকসেবন। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যায় প্রকাশেই। কেউ তাদের বাধা দিলে বা পুলিশের কাছে জানাবে বললে তারা এলাকার প্রভাবশালী ও বড়ভাইদের পরিচয় দেয়। শহরের পুলিশ প্রহরা থাকলেও অনেক মাদক বিক্রেতাদের কৌশল ধরতে পারে না পুলিশ। এমন কি জেলা প্রশাসকের কার্যলয় ও পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে সামনে চানমারি বস্তি এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি হয়।
ডিআইটি মসজিদের গেটের সামনে মাদক প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, এখানে মাদক বিক্রি হয় তা আমরা জানতাম না। খতিব সাহেবের অভিযোগ অনুযায়ী আমরা পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করবো। যদি কেউ সেখানে মাদক বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।