আজ সোমবার, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেড়া মনজুর কাদের মহিলা ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা

বাকী বিল্লাহ (বেড়া-সাঁথিয়া প্রতিনিধি) পাবনা : ক্রিকেট অনেকেরই পছন্দের খেলা। ক্রিকেট শুধু ছেলেদের খেলা বলে এত দিন ওদের মনে গেথে ছিল। এছাড়া ছেলেদের মতো মাঠে গিয়ে খেলার পরিবেশও ছিল না। তবে সেদিন পাল্টে গেছে। এখন পাবনার বেড়া মনজুর কাদের মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রীরা পাঠদানের ফাঁকে নিয়মিত ক্রিকেট খেলছে। কলেজ সুত্রে জানা যায়, চারিদিকে প্রাচীর ঘেরা সুরক্ষিত কলেজের মাঠ ক্রিকেট খেলার জন্য এনে দিয়েছে ওদের সুন্দর পরিবেশ।

বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে অত্র কলেজের ছাত্রীরা টি-টোয়েন্টি খেলার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এতে কলেজের মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে তিনটি দল অংশ গ্রহণ করে। ফাইনালে ওঠে মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগ। এই ফাইনাল খেলা হয় ১৬ই ডিসেম্বর শনিবার। এতে বিজ্ঞান বিভাগ জয়ী হয়।

এ ব্যাপারে কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নুরমহল বেগম বলেন, এক একটি দলে সেরা ১১ জন করে দেওয়া হয়েছে। এখন কলেজের অনেক ছাত্রী ক্রিকেট খেলছে। মেয়েরা আগে টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখে না বুঝেই সবার সঙ্গে হইহুল্লোর করত। এখন ওরা নিজেরা ক্রিকেট খেলতে এসে সব নিয়ম-কানুন বুঝতে পেরেছে। এতে ক্রিকেট এর প্রতি ওদের মজা ও আগ্রহ আরও বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজে দেখা যায়, কলেজের মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রীদের মধ্যে চলছে টি-টোয়ান্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। খেলা চলার সময় নিজ নিজ বিভাগের খেলোয়ারদের পক্ষে জোড়ে-শোরে সমর্থন জানাতে দেখা যায় ছাত্রীদের। এ সময় কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, মেয়ে হয়েও যে ওরা ক্রিকেট খেলতে পারবে তা আগে ভাবেনি। ক্রিকেট খেলতে ওদের সবারই খুব ভালো লাগে।

আগে ক্রিকেট সম্পর্কে ভালো করে না বোঝার সত্ত্বেও খেলাটি ভালো লাগত। এখন বোঝার পর আরও বেশি ভালো লাগে। এ ব্যাপারে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক এস.এম শরিফুল ইসলাম (পিন্টু) বলেন, মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের কলেজে ১ হাজার ৭৬০ জন ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও যাতে ওরা এগিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে আমরা ওদের উৎসাহ দিচ্ছি।

আমাদের কলেজের মনোরম পরিবেশে ছাত্রীরা ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় অবাধে অংশ নিতে পারে। তবে কিছু দিন হলো মেয়েদের মধ্যে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তাই ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামাদি কিনে দিয়েছি। ক্লাসের ফাঁকে ওরা প্রতিদিন ক্রিকেট খেলে।