রেদওয়ান আরিফ
লকডাউন তুলে নেয়ার পর বেড়ে গেছে মানুষের অবাধ চলাচল। তেমনি লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের করণে কর্মহীন হয়ে পরা শহরের অসংখ্য মুচির মধ্যে ফিরে এসেছে সেই কর্মব্যস্ততা। স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই ঝুঁকির মধ্যে নগরীর কিছু কিছু মোড়সহ অলিগলিতে জুতা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসন থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার পর মানুষের জীবনযাত্রা আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যেও শহরে অধিক লোকের চলাচল। সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। সব যখন স্বাভাবিক ঠিক তখনি জীবিকার তাগিদে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়সহ পাড়ামহল্লার অলিগলিতে জুতা সেলাই করছে মুচিরা। তাদের কারো কাছেই দেখা যায়নি যথেষ্ট সুরক্ষা সরঞ্জাম। সাথে নেই কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। হাতে নেই গ্লাভস। অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
সূত্র মতে, করোনাভাইরাসের জীবাণু জুতার তলায় ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। তাই সুরক্ষা সরঞ্জামবিহীন জুতা সেলাইয়ের কাজ করা এসব মুচিরা খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারে করোনাভাইরাসে।
সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করছে না কেন জানতে চাইলে এক মুচি বলে, আমাদেরকে তো এ ধরনের কোন কিছু কেউ দেয়নি, ফুটপাতে যেগুলো বিক্রি করছে এগুলোও অনেক দাম, ইনকাম না থাকায় পরিবার নিয়ে দুবেলা খাওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কীভাবে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনে ব্যবহার করব। যদিও এসব ছাড়া জুতা সেলাই করা করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সচেতন মহলের মতে, যেখানে সেখানে ফুটপাতে বসে কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই এসব মুচিরা প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষের জুতা সরাসরি হাতে নিয়ে সেলাই করছে। সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে মুচিরা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে তারা মনে করছে।