আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লকডাউনে রিকশা বেড়েছে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে কোন বাধা ছাড়াই চলালচল করছে অসংখ্য অবৈধ রিকশা। করোনার
আগে মেশিন চালিত রিকশা শহরে নিষেধ থাকলেও এখন অবাধে চলছে। এর পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকও সড়কে রাজত্ব করছে। করোনা ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে ইজিবাইকে যাত্রিদের গাদাগাদি করে তোলা হয়। সড়কগুলোতে ইচ্ছে মতো গতি বাড়িয়ে বিনা লাইসেন্সের চালকরা বিনা রেজিস্ট্রেশনের এসব যান চালালেও কর্তৃপক্ষ তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সচেতন মহলের মতে, লকডাউনের সময়ে সব যান বন্ধ থাকায় মেশিন চালিত রিকশা ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক শহরের সড়কে বেড়েছে।

ব্যাটারির মেশিন চালিত রিকশা চালাতে আরামদায়ক হওয়ায় গ্রাম থেকে যে কেউ এসে রিকশার প্যাডেল ধরছে। সুযোগ নিচ্ছে মহাজনরা। তারা টাকা কামাতে আনাড়িদের হাতে রিকশা তুলে দিচ্ছে। এদের কারনেই শহরে যানজট ও বিশৃঙ্খলা বলে মনে করেন সচেতন মহল। একইভাবে ব্যটারি চালিত ইজিবাইকও শহরের সড়কে অবাধে চলাচল করছে।
একটি বাজেট অনুষ্ঠানে বক্তৃতার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ১০ হাজার রিকশার আর সড়কে চলে ২৫ হাজারেরও বেশী। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, শহরে এই মুহূর্তে ৫০ হাজারের বেশী রিকশা রয়েছে। চাষাঢ়া তোলারাম কলেজ মোড়, গলাচীপা মোড়, ডায়মন্ড সিনেমা মোড়ে অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি মিনিটে ১৫ থেকে ২৫ টি রিকশা আসে। এসব রিকশার মধ্যে মেশিন চালিত (ব্যাটারি চার্জে চলে) রিকশাই বেশী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেশিন চালিত রিকশা শহরের মূল সড়কে নিষিদ্ধ হলেও তারা তা মানে না। দিনের বেলায় অল্প রিকশা শহরের রোডে এলেও রাত ৮টার পর অসংখ্য মেশিন রিকশা দাবড়ে বেড়ায় শহর জুড়ে।
হক প্লাজার একজন নিরাপত্তা রক্ষি জানান, বঙ্গবন্ধু সড়কে বেপরোয়া গতিতে রিকশা চালায় চালকরা। ফাঁকা সড়ক পেয়ে তারা জোরে রিকশা চালায়। অনেক সময়ে ছোট খাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। মেশিন চালিত ও পায়ে চালিত অবৈধ রিকশার অধিকাংশ গ্যারেজই সিটি করপোরেশনের বাইরে এলাকায়। ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দারাই নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা আমল থেকে রিকশা প্লেটের মালিক হয়ে আছেন। এমন ব্যক্তিও আছেন যার শতাধিক প্লেট রয়েছে। তিনি অগ্রীম টাকা নিয় প্লেট ভাড়া দেন রিকশা মহাজনদের কাছে। আর মাসে মাসে ভাড়াও পান। প্রশ্ন উঠেছে, ইউনিয়ন এলাকার অবৈধ রিকশা শহরে কিভাবে ঢুকে। আর রিকশার প্লেটের কারা মালিক তা কেন যাচাই করা হয় না।