আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা নেই

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে নারায়ণগঞ্জ সহ সারাদেশে  বৃহস্পতিবার ( ৭ মে)  জোহর থেকে সাধারণ মুসিল্লরা মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বুধবার (৬ মে)  ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে জনসমাগমের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা ও তারাবির জামাত সীমিত আকারে আদায়ের জন্য নির্দেশনা জারি করেছিল। দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাগণ পবিত্র রমজানের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) মেনে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার জোহর থেকে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু শর্তে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদের প্রবেশদ্বারে স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে ও সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব, অর্থাৎ, তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এবং মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে।
মসজিদে ইফতার ও সাহরির আয়োজন করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হয়েছে। খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি এই বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এর আগে সরকার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মসজিদ খোলা রাখা হলেও প্রতি ওয়াক্তের জামাতে পাঁচজনের বেশি অংশ নেওয়া যাবে না। এই পাঁচজন হবেন মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম। এ ছাড়া জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে গিয়ে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। এখন নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।