নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ পুরো জেলার মানুষ অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। জেলার মানুষ কে ঘরে থাকতে বলছেন প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়েছে। জেলায় ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬শ’ ৫৮ জন। মারা গেছেন ৪২ জন। করোনাভাইরাসের জন্য সরকারের দেয়া লকডাউনের সময় বাড়িয়েছে ৫ মে পর্যন্ত। শহরে লকডাউনের বিগত দিন গুলোতে মানুষের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও সোমবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। চলছে রিকশাসহ ছোটবড় যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম করে চলাফেরা করছেন পথচারীরা। নেই সামাজিক দুরত্ব। নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
চাষাঢ়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকা চলছে ছোটবড় যানবাহন। শহরের বিভিন্ন মার্কেটে দোকান খুলতে শুরু করেছে বিক্রেতার। ইফতারের নানা রকম পণ্য বিক্রির হিরিক পড়ে গেছে ২ নম্বর গেট এলাকায়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরস্পরের স্পর্শে চলছে বেচাকেনা। প্রায় সারা দিন শহরের জনসমাগম থাকলেও পূর্বের ন্যায় পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়নি।
করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা এলাকার মানুষ আক্রান্ত সব চেয়ে বেশি। কিন্তু এই এলাকা গুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তায়, বাজার গুলোতে ছিলো ভীড়। এদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। করোনারভাইরাসে ভয়াবহতা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ স্বাস্ব্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মানুষের আনাগোনা লকডাউনের বিগত সময় চেয়ে অনেক বেশি। জনসামগমও বাড়ছে। রাস্তায় প্রতিনিয়ত মানুষ চলা ফেরা করছে। সামাজিক দুরত্ব না থাকায় এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পরছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে অনেক গার্মেন্টস চালু করায় ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। তবে প্রশাসন আগের মতো কঠোর অবস্থায় নেই। সামনের দিন গুলোতে প্রশাসন কঠোর হতে না পারলে ভয়াবহতা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ সাহা সংবাদচর্চাকে জানান, করোনায় ২৯ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। মানুষ অসচেতন ভাবে বাইরে বের হচ্ছে লকডাউন অপেক্ষা করে। তবে লকডাউন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির নেতারা বলছেন, প্রশাসনের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা নেই। এতে করে মানুষ শহরের লকডাউন কে পন্ড করে দিচ্ছে। তারা লকডাউন মানছে না। পুলিশ সদস্যরা যদি কঠোর অবস্থানে না যায় তাহলে সামনে আরও বেশি ঝুঁকি হবে।