সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
লাল টুকটুকে হয়ে পচন ধরেছে টমেটো। ক্ষেতের পাশেই পরে আছে লাউ, জিঙ্গা, করোলা সহ নানা সবজি। চাষীরা জানাচ্ছে পরিবহন সংকটে বাজারে নিতে পারছে না। যার কারনে শত শত মন সবজি নষ্ট হচ্ছে মাঠেই। প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবার প্রভাবে বিপাকে পরেছেন নারায়ণগঞ্জের সবজি চাষীরা। আলীরটেক, রূপগঞ্জ,কালাপাহাড়িয়া এলাকায় প্রচুর ফলন হলেও, ট্রলার ও যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বাজারে সবজি পাঠাতে পারছেন না চাষীরা।
জানা গেছে আলীরটেক ইউনিয়নের চারদিকে নদী বেষ্টিত গ্রাম হওয়াতে শহরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে প্রধান বাহক হিসাবে ব্যবহার হয় ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলার। আর এলাকাবাসী ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ডিক্রীরচর, গোপচর খেয়াঘাট বন্ধ থাকায় বিপাকে সবজি চাষীরা। বিক্রি না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মাঠভরা সবজি অথচ বিক্রি হচ্ছে একেবারেই কম এবং যা বিক্রি হচ্ছে তার মূল্য খুবই কম।
সবজি চাষী মোঃ মাসুদ বেপারী জানালেন, করোনায় বড় ধাক্কা খেলাম। আমাদের মাঠে তো সবজি ছাড়া অন্য কোন ফসলের আবাদ করি না, সবজি এখন মাঠ ভরা কিন্তু ঘাটে ট্রলার বন্ধ থাকায় পাইকাররা আসতে পারছে না। যার কারনে সবজি বাজারে পাঠাতে পারছি না।
দেশে করোনার ঝুকির আগে যে সবজি পাইকার এসে নিয়ে যেতো ২০ টাকা করে তাদের ফোন দিয়ে ৫টাকা কেজি বলে সাধলেও তারা নিতে নারাজ।
শুধু এই নয়, করোলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, শশা, মরিচ, চাল কুমড়া, ডাটা, কলমি শাক, পুইশাকসহ এসময়ের সকল সবজিরই একই অবস্থা।
তারা জানান, প্রতিবছর রমজান মাসে সবজীর ভালো দাম থাকায় আমরা কিছুটা পয়সার মুখ দেখি কিন্তু বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে লোকসান গুনা ছাড়া কোন উপায় নেই।