সংবাদচর্চা রিপোর্ট
করোনা ভাইরাসে পুরো শহর আতঙ্ক বিরাজ করলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি পাড়া মহল্লার অলি-গলিতে। এখনো বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠছে বাচ্চাদের খেলাধুলা, মুরুব্বিদের অবসর সময়পাড় করা, তরুনদের দল বেধে আড্ডাবাজী। এতে করে ঝুঁকিতে আছে নগরবাসী। বেড়ে যেতে পারে করোনার সংক্রমন।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের প্রায় সব জায়গায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পুলিশ, র্যাব সার্বক্ষনিক টহলে থাকলেও পাড়া মহল্লা গুলোতে নেই তাদের নজরদারী। বলাচলে, স্থানীয় এই অলিখিত লকডাউনের কোন তোয়াক্কাই করছেন না। সমাজ থেকে বাধা দিতে গেলে পরতে হয় তোপের মুখে। সেই ধারাবাহিকতায় সিদ্ধিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড নতুন আইলপাড়া এলাকায় দেখা যায় ঈদের আমেজের মতো পরিস্থিতি। বিভিন্ন এলাকায় কিশোররা রাস্তায় ক্রিকেট খেলছে। খেলার সময় কারো মুখে মাস্ক নাই। যুবকেরা দল বেধে আড্ডায় মেতে উঠছে। কেউ কেউ দল পাকিয়ে মোবাইল ফোনে গেইম খেলছে। মুরুব্বিরা আগের মতোই এক সাথে বসে আড্ডা জমাচ্ছে। যদিও করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মুরুব্বি বা বয়স্কদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা সংবাদচর্চাকে জানান, আমরা সবসময়ই ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করি। প্রশাসনকে সাথে নিয়েও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা যখন সরেজমিনে যাই তখন তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আবার চলে গেলে পুনরায় ফিরে আসে। আসলে সত্য বলতে সবচেয়ে বড় দোষ এই সমাজ ব্যবস্থার। প্রথমে আমাদের নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে এই ভুলের মাসুল আমাদেরকেই দিতে হবে।
এনএইচ/এমএইচআর/এসএমআর