সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের ৫ দিন যাবৎ মাসদাইর, গলাচিপা, জামতলা, আল্লামা ইকবাল রোড, ডি,এন রোড, আমলাপাড়া, কুমুদিনী বাগান সহ পুরো ওয়ার্ডেই কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ স্বেচ্ছাসেবকরা পিপিপি পরিধান করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিম্নবিত্ত ও সামর্থ্যবান পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন। যারা সার্মথ্য থাকার পরেও দোকানে পাচ্ছেন না প্রয়োজনে কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ বোতল স্যানিটাইজার কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হয়েছে। নিজ ওয়ার্ডের বাইরেও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন কার্যালয় থেকে স্যানিটাইজার সংগ্রহ করেছেন। কাউন্সিলর খোরশেদ আশাবাদ করে বলেন, আমার বিশ্বাস আমরা ওয়ার্ডে ৮০ ভাগ মানুষের কাছে পৌছাতে পেরেছি। যারা এখনো পায়নি তাদের দয়া করে কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করার অনুরোধ করেছেন ।
কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেছি এবং আমার কার্যালয় থেকে ২০-২৫ হাজার বোতল বিতরণ করেছি। গত ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার স্বেচ্ছাসেবীরা ১৩নং ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লায় বিতরণ করেছে ও ১৮ মার্চ থেকে আমার কার্যালয় থেকেও বিতরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য থাকে যে করোনা প্রতিরোধে এর আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ১০ মার্চ থেকে দু সপ্তাহ ধরেই লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন বসিয়ে তাতে ক্ষারযুক্ত সাবানের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়াও প্রতিটি মসজিদ ও মন্দিরে সেভলনের স্প্রের ব্যবস্থা করেন তিনি, যেটি মসজিদে ও মন্দিরে প্রবেশ ও বের হবার সময় হাতে স্প্রে করা হয়। বিভিন্ন যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে তাতে স্প্রে করছেন। জীবাণুনাশক স্প্রে তে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ লিটার পানির সাথে এক চামচ ব্লিচিং পাউডার। এটি জীবাণুনাশ করতে খুবই উপকারি বলে কাউন্সিলর জানান।
তিনি ১০ মার্চ থেকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট বিতরন শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ে কাউন্সিলর খোরশেদই দেশে প্রথম স্যানিটাইজার বানানো বিতরণ ও প্রথম স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য পিপিপি সুট ব্যবস্থা করেন।