সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
করোনা আতঙ্কেও ইয়াবা পাচার থেমে নেই! বুধবার ২৫ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড হতে ২ ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১। এসময় ৯৮০পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ৫৯০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাহেন্দ্র নাথ(৩২) , মোঃ জিহাদ ইসলাম(৩২)। বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে র্যাব -১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন। তিনি জানান কক্সবাজারের ২ জন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল রাত সাড়ে ৩ টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চিটাগাংরোডে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাসীকালে কক্সবাজার হতে ঢাকাগামী ষ্টার লাইন সিপিং কোচ থেকে নেমে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দিগ্ধ হিসেবে মাহেন্দ্র নাথ ও মোঃ জিহাদ ইসলাম’কে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহেন্দ্র নাথ এবং মোঃ জিহাদ ইসলামের কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে তারা অস্বীকার করে। অতঃপর নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের দেহ তল্লাশী করে ৯৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত মহেন্দ্র নাথ এর বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ গোপাল রায় এলাকায় এবং মোঃ জিহাদ ইসলাম এর বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাইল থানাধীন বেলীশ¡র এলাকায়। গ্রেফতারকৃত আসামী ০২জনই চাকুরীচ্যুত সেনা সদস্য। মহেন্দ্র নাথ ২০১৭ সালে চুরির দায়ে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয় এবং জিহাদ ইয়াবা সেবনের দায়ে ২০১৮ সালে চাকুরীচ্যুত করা হয়। চাকুরীচ্যুত হয়ে তারা মাদক ব্যবসা শুরু করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কৌশলে কক্সবাজারের টেকনাফ হতে বাসযোগে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিনব পন্থায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার ও সরবরাহ করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।