করোনাভাইরাসের কারণে ‘সেলফ আইসোলেশনে’ রয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি বিমান ভ্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর নিজ উদ্যোগেই ১৪ দিনের স্বেচ্ছানির্বাসন গ্রহণ করেন তিনি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছলাম। যদিও বিমানে সবসময় একটু হলেও ভয় কাজ করেছে। তাও চেষ্টা করেছি কীভাবে নিজেকে হাইজিন, পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।’
সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণ করে সোজা একটি হোটেলে উঠেছি। তাদেরকে অবগত করেছি- আমি এখানে থাকব কিছুদিন। যেহেতু বিমানে এসেছি, একটু হলেও ঝুঁকি আছে আমার। এ জন্য নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি।’
নিজের মেয়ের সঙ্গেও দেখা করেননি উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘এ কারণে আমার বাচ্চার সাথেও দেখা করিনি। এখানে এসেও বাচ্চার সঙ্গে দেখা করছি না- এটা আমার জন্য কষ্টকর ব্যাপার। তারপরও আমার মনে হয় এই সামান্য ত্যাগ করতে পারলে আমরা অনেক দূর এগোতে পারব।’
বিদেশ ফেরতদের উদ্দেশে সাকিব বলেন, ‘যদি কেউ বিদেশফেরত থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখা এবং ঘর থেকে যাতে বাইরে না যাওয়া হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। একই সঙ্গে আরেকটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে, যেন আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী এসে আপনার সঙ্গে দেখা করতে না পারেন। ১৪ দিন আপনাকে ঘরে থাকতে হবে, যেটা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, ‘কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্কিত হওয়াটা কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না। আমি খবরে দেখেছি, অনেকেই তিন-চার-পাঁচ এমনকি ছয় মাসের খাবার সংগ্রহ করে রাখছেন। আমার ধারণা খাবারের ঘাটতি কখনোই হবে না। আমরা কেউ না খেয়ে মারা যাব না। আমরা এ রকম আতঙ্কিত না হই।