সংবাদচর্চা রিপোর্ট
অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই কিশোর কিশোরীর গভীর প্রেমের সম্পর্ক। মেনে নেয়নি প্রেমিকার পরিবার। অভিমানে আগেরদিন দুজন হাত ধরে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের সামনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও সেই যাত্রায় বেঁচে যায়। বাসায় নিয়ে এলেও বাঁচানো যায়নি শরীফা আক্তার (১৫) নামের কিশোরীকে। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। গার্মেন্টকর্মী শরীফা আক্তার লালমনিরহাট জেলার ঘুমতা গ্রামের মৃত. আবদুল্লার মেয়ে। শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় এনাম মিয়ার ভাড়া বাড়ির তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরীফার বোন জামাই আফজাল হোসেন জানান, দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার জনৈক শাকিল নামে এক বখাটের সঙ্গে শরীফা প্রেম ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩ মাস ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক। এর মধ্যে শাকিল এক সপ্তাহ পূর্বে আমার কাছে শরীফাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে শরীফা গার্মেন্টস থেকে ৩ হাজার টাকা বেতন পেয়ে তার বড় বোন শ্যামলীর হাতে পুরো টাকাই দিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দুপুর ২টায় খবর পাই শাকিল ও শরীফা লিংক রোডের পাশে কাইয়ুমপুর এলাকায় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে শুনি তারা দুজন হাত ধরে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের সামনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও দুজনই শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। পরে তাদের দুজনের পরিবার দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ভোর রাতে ভাড়াটিয়া বাসায় শরীফা আত্মহত্যা করে এবং শাকিল রাতেই বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। তার পরিবারের লোকজনও তাকে খুঁজছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই বারেক জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। ছেলে এবং মেয়ে দুজনই বিয়ের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক। শরীফার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।