সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শুরুটা হয় ২০১১ সাল থেকে। এরপর আর পিছু ছাড়েননি তার। কারনে অকারনে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হেনস্থা করা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। নিজেতো করেনই অনুগতরাও বাদ যায় না। এবার শুরু করেছে ময়লা নিয়ে। গতকাল ও তার আগে একাধিক সভায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে ময়লা ফেলা নিয়ে আইভীকে দুষছেন শামীম ওসমান। যদিও ওই জায়গায় এখন ইউনিয়ন এলাকার ময়লা ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান লিংক রোডের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ নিয়ে সমালোচনা করেন। এর আগেও দু’একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তার বক্তব্যের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি যতটা না ময়লা অপসারণের পক্ষে তার চেয়ে বেশী সমালোচনামূখর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কে নিয়ে। শুধু ময়লা নয় সুযোগ পেলেই মেয়রকে ইঙ্গিত করে নানা কথা বলেন।
একই দলের হলেও এ দু’জনের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক অনেক দিন ধরে। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন দু’জনই। আইভীর কাছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হারার পর থেকেই তার পিছু নেন শামীম ওসমান। এমন ধারণা পোষণ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, আইভীকে ঘায়েল করতে অনুগতদের দিয়ে বিদেশী দাতা সংস্থার সাথে বৈঠক চলাকালে নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন হয়েছিলো। সেই মানববন্ধনে উপস্থিত অধিকাংশ ছিলেন নগরের বাইরের লোকজন। মানববন্ধন চলাকালে তাদের সামনে আইভী আসার পর পিছু হটে শামীম অনুগতরা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকরী দফতরে মেয়রের বিরুদ্ধে চিঠি, উন্নয়ন কাজে বাধা, ফেস্টুন টানিয়ে চরিত্র হনন করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর সব কিছুই করেছে শামীম ওসমান অনুগতরা। দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইভী যাতে দলীয় মনোনয়ন না পায় তার সব চেষ্টা করা হয়েছিলো। তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ে তাদের চেষ্টা ধোপে টিকেনি। সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি শহরে মেয়রের উপর হকারদের উসকে দেয়ার ঘটনার পর দলের হাই কমান্ড শামীম ওসমানকে সতর্ক করে দেন। এরপর থেকে তিনি প্রকাশ্যে কিছু না করলেও সভা সমাবেশে ইঙ্গিত করে বক্তৃতা দেন।
সম্প্রতি লিংক রোডের ময়লা নিয়ে মেয়র ও নাসিককে দোষারোপ শুরু করেছেন শামীম ওসমান। তবে নাসিক সূত্র জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এখন নাসিক এলাকার ময়লা ফেলা হয় না। নাসিকের ময়লা এখন সৈয়দপুরে ফেলা হয়। প্রতিদিন সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ময়লা লিংক রোডে ফেলে বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠনের নিয়োজিত পরিচ্ছন্নকর্মীরা। আর এসব এলাকা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওতাধীন। যে আসনের এমপি শামীম ওসমান। সচেতন মহলের মতে, নিজের এলাকার ময়লার খবর রাখেন না শামীম ওসমান। তাই দোষারোপ করছেন অন্যকে।