নিজস্ব প্রতিবেদক
রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হোড়গাঁও এলাকার ফসলি জমির মাটি, সরকারি খালের মাটিসহ বিভিন্ন কোম্পানির ক্রয় করা জমির মাটি অনুমতি ছাড়াই লুট করার অভিযোগ উঠেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আমীর হোসেন বিরুদ্ধে। লুটকৃত মাটি মেসার্স নুরুল ইসলাম ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাটির লুটের অভিযোগে ভিশন ২১ নামের একটি হাউজিং কোম্পানী রূপগঞ্জ থানায় জিডিও করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের দড়িকান্দী মৌজার হোড়গাঁও এলাকার চকে ফসলী জমি, সরকারী খালের মাটি প্রায়শ চুরি হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বার আমির হোসেন দিনরাত মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন।
মেম্বারের চাচাতোভাই শফিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমীর হোসেন মেম্বার আমার চাচাতো ভাই, তিনি আমার একটি ফসলি জমির পাশে কোম্পানির একটি জমির মাটি ৩০ ফুট গর্ত করে চুরি করে নেওয়ায় আমার ফসলি জমিটা ভেঙ্গে পড়ছে। এখন জমিতে কোনো ফসল চাষ করতে পারি না।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকার ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে শাহাজদ্দিনের (মেসার্স নুরুল ইসলাম ব্রিকস্) ইটভাটায় বিক্রি করে মেম্বার। কেউ বাঁধা দিলে তার বাহিনী দিয়ে মারধর করায় তাই কেউ ভয়ে কথা বলেন না। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের দড়িঁকান্দী মৌজার হোড়গাঁও এলাকার কৃষি জমি থেকে খননসহ নৌকায় করে মাটি নিয়ে যেতে এবং মাটি কাটার পাশে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আমীর হোসেনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ফসলি জমির মাটি চুরি করে অন্য ফসলি জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক মাটি বহন করে নিয়ে যাওয়ার ফলে নিরীহ কৃষকদের ফসলি জমির চরম ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মাটি কেটে নেওয়ায় এসব জমিতে কয়েক বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আমীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই কোম্পানীর কাছে ১৪ লাখ টাকা পাওনা আছি। কোম্পানী পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছি। ফসলি ও খালের মাটি লুটের বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে মেম্বার বললে, আমি এলাকার মেম্বার আমি খালের মাটি চুরি করতে পারি। মাটিগুলো বেশি হয়েছে তাই মাটিগুলো নিতেছি।
এ ব্যাপারে ভিশন ২১ এর পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমাদের কোম্পানীর বেশ কয়েক বিঘা জমির মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় জিডি করা হলেও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। প্রশাসন সহযোগিতা করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম জানান, মেম্বার হয়ে যদি মাটি চুরির সাথে জড়িত থাকে তাহলে তা তদন্ত করা হবে। মাটির কাটার জন্য প্রশাসন থেকে কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি কাউকে। যদি মেম্বার মাটি কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএ/এসএমআর