আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিনের ভারত সফরে আছেন । সোমবার বিকালে মহাত্মা গান্ধির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। গান্ধিজীকে শ্রদ্ধা জানাতে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে পরাজিত হয়েছেন বলে মনে করছেন সেখানকার স্থানীয়রা।
সোমবার বিকালে গুজরাতের আহমদাবাদ বিমান বন্দরে পা দেওয়ার পরই নির্ধারিত কর্মসূচি মতো ট্রাম্প চলে যান শবরমতী আশ্রমে গান্ধিজীকে শ্রদ্ধা জানাতে। সস্ত্রীক ট্রাম্প এদিন সবরমতী আশ্রম পরিদর্শন করেন। আশ্রমের যে স্থানে বসে গান্ধিজী চরকা কাটতেন সেই স্থানটিও দর্শন করেন তাঁরা। হাত দিয়ে চরকাও ঘোরান।
তারপর চিরাচরিত প্রথা মেনে চলে আসে ভিজিটর্স বুকে বার্তা দেওয়ার পালা। ভিজিটর্স বুকে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমার মহান বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি… আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ সফরের জন্য।’ ব্যাস। এটুকুই। শুধু এই বার্তাটুকু লিখেই নীচে সই করেন ট্রাম্প। আর তারপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গান্ধিজীর আশ্রমে এলেন অথচ তাঁকে নিয়ে একটি কথাও ভিজিটর্স বুকে লিখলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা দেখে সবাই হতবাক। ঠিক এক দশক আগে অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। ভিজিটর্স বুকে গান্ধিজী সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, ‘একজন হিরো শুধু ভারতের নন, গোটা বিশ্বের।’ ঠিক এই ভাষাতেই গান্ধিজীকে ‘বিশ্বের হিরো’ বলে প্রশংসা করেছিলেন ওবামা। গান্ধিজী সম্পর্কে ওবামার এই মন্তব্য সবার নজর কেড়েছিল।
এরপর ২০১৫ সালেও ভারত সফরে আসেন ওবামা। রাজঘাট পরির্দশন করে তিনি বলেছিলেন, মার্টিন লুথার কিং (জুনিয়ার) সেইসময় যা বলেছিলেন তা আজও সমান সত্য। গান্ধিজীর চেতনা ভারতে জীবন্ত হয়ে রয়েছে, যা বিশ্বের কাছে এক বিরাট উপহারও। এভাবেই আমরাও যেন গান্ধিজীর শান্তি ও ভালবাসার চেতনা নিয়ে মানুষের মধ্যে বাঁচতে পারি।’ গান্ধিজী সম্পর্কে এটাই ছিল ওবামার মূল্যায়ন, শ্রদ্ধার্ঘ। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য এসবের ধারপাশ দিয়েও যেতে পারলেন না।