আজ মঙ্গলবার, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাদল-শওকত পারেনি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি ১৫ বছর পদে থাকার পরও ফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া দুই নেতা। এ কমিটি এবং বাকী থাকা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিতে পদ পেতে ইতিমধ্যে নানাভাবে তদবির শুরু করেছে অনেকে। এরমধ্যে যেমন দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী রয়েছে তেমনি হাইব্রিডও রয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, টাকার জোরে অনেকে পদ পেতে চেষ্টা করছে। তারা কতিপয় নেতাকে খুশী করতে ব্যস্ত রয়েছে।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গত ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের কোন ভোটাভুটি হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ পদে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হন সাইফউল্লাহ বাদল ও শওকত আলী । এক যুগের বেশী সময়ের পর এ সম্মেলনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে যে আশা জেগেছিলো তা অনেকটা নিভে যায় কাউন্সিলরদের ভোটাধিকার না রাখায়। আর বাকীটা নিভে পূর্নাঙ্গ কমিটি না হওয়ায়। নম পার্কে ঘটা করে সম্মেলন করলেও শেষতক দুইজন নেতার নাম ঘোষণায় ইতি টানা হয়। অনেক দিন বাদে হওয়া এ সম্মেলনে কোন চমকও দেখাতে পারেনি আয়োজকরা। প্রথমদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের উপস্থিত থাকার কথা জানালেও তার আসা হয়নি। স্থানীয় সাংসদ ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার নেতা শামীম ওসমান এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সম্মেলন হওয়ার দুই মাস পার হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নাম নেই পদ পাওয়া নেতাদের। দলীয় সূত্র জানায়, এত সময় নেয়ায় একশ্রেনীর হাইব্রিড নেতা টাকা ঢেলে পদ পেতে চেষ্টা করছেন। যে সমস্ত এলাকায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি হয়নি সেখানেও টাকাওয়ালারা ছুটছেন পদ পেতে। এতে করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তাদের আশংকা হাইব্রিড-কাউয়ারা পদ কিনে নিতে পারেন।