বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরে ১ ঘন্টার ব্যবধানে গৃহবধূসহ ২জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে থানার দু’টি পৃথক স্থান হতে ওই লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছে মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা কুইচ্চা মরা গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে মনি আক্তার (২০) ও বন্দর ২১নং ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকার সিরাজুল মৃধার ছেলে নয়ন মৃধা(১৭) পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরেই বন্দর থানায় ১টি হত্যা ও অপরটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা কুইচ্চা মরা গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে মনি আক্তারকে বিগত ২ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী জাঙ্গাল এলাকার মোজাম্মেল হোসেন মুজা মিয়ার ছেলে ওয়াজকরণীর সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মনি আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে জামাতা ওয়াজকরণীকে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও যৌতুকলোভী জামাতা যৌতুকের জন্য মনিকে প্রতিনিয়তই চাপ সৃষ্টি করতো। বিয়ের ১বছর পর তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে সন্তান জন্ম নেয়ার পরও ওয়াজকরণী মনির পরিবারের কাছে ফের ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। মনি অপারগতা প্রকাশ করলেই তার উপরে নেমে আসতো অত্যাচারের স্টীমরোলার। কিছুদিন পূর্বেও মনিকে বেদম মারপিট করা হয়। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ওয়াজকরণী মনিকে তার ছোট বোন শীলার সামনে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে মনি স্বামীর উপর অভিমান করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। পরে স্বামী ও অন্যান্যরা মিলে গৃহবধূকে প্রথমে মদনপুরের একটি হাসপাতালে পরে ঢ্কাা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। গৃহবধূর পরিবারের দাবি,যৌতুক না দেয়ায় তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আতœহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে। অপরদিকে পুলিশ এ ঘটনার ১ঘন্টা পর পরই থানার এনায়েতনগরস্থ সোহেল মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে নয়ন মৃধা নামে ১৭ বছর বয়সী এক তরুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। নয়নের আতœহননের ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান,বন্দর ২ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা এবং তরুনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মামলার মূল মোটিভে যাওয়া যাবে।