আজ বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুচলেকায় ফাতেমার মুক্তি

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশের সাথে উশৃঙ্খল আচরণ করেও মুক্তি পেয়েছেন সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লা মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রায় দিনভর নাটকীয়তা শেষে ৫ ঘন্টা আটক থাকার পর বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে, সকাল ১১টায় পুলিশের হাতে আটককৃত এক নারীকে ছাড়িয়ে নিতে এসে পুলিশ কন্সটেবলকে মারধর করায় তাকে আটক করে পুলিশ।

জানা যায়, বুধবার রাত ১২ টায় দুই আসামীকে গ্রেফতার নিয়ে আসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এদের ভেতর এক বেলী নামে এক নারী ফাতেমা মনিরের বডিগার্ড হওয়ায় তাকে ছাড়াতে ছুটে আসেন থানায়। তিনি থানায় প্রবেশ করেই তাদের ছেড়ে দিতে বলে পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকেও আটক করে লকআপে রেখে দেয়। এর পরপরেই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী তাকে ছাড়াতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

বেলা ২ টার দিকে থানায় আসেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। তাদের জোড়ালো তদবিরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান ফাতেমা মনির। একই সাথে তিনি পুলিশের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পুলিশকে ফোন দিলেই পুলিশ আসামী ছেড়ে দিবে এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন ভঙ্গের কাজ করেছেন আর সে কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিলো। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেছেন এবং এমন কাজ পরবর্তীতে করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। নারী সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ