আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নীরবে নিভৃতে জিয়াকে স্মরণ !

সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত, রাজনৈতিক প্রতিবেদক

শহীদ প্রেডিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে নীরব ভূমিকায় ছিলো নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। জন্মদিনকে ঘিরে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী সক্রিয় থাকলেও বেশিরভাগই ছিলেন দায়সাড়া। তাদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও দোয়ার আয়োজন করেছেন মহানগর যুবদল ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের মেয়ে ব্যারিষ্টার মারইয়াম খন্দকার ও থানা পর্যায়ের গুটিকয়েক নেতাকর্মী। জেলা যুবদলের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হলেও ছিলেন না সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এদিকে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মৎসজীবি দল ও জেলা বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তেমন সক্রিয় কোন ভূমিকা পালন থাকতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ খোদ দলটির নিজ দলীয় নেতাকর্মীরদের।

রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, নিজ দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপি ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে কখনোই এমনটা আশা করেনা দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার পরেও গত বছর বিজয় দিবসে তারা যে সক্রিয়তা দেখিয়েছিলো তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে। এভাবে চলতে থাকলে দাবি আদায় তো দূরের কথা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাবে বিএনপি। তাদের উচিৎ যেকোন ইস্যুকে ঘিরে সক্রিয়তা দেখানো। সম্মিলিতভাবে সকলের প্রচেষ্টায় দলের দুঃসময় কাটিয়ে ভালো একটা জায়গা তৈরি করে নেয়।

দলটির মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, সকলেই নিজ নিজ আখের গোছাতে ব্যস্ত। যে যার মতো করে ব্যক্তিগত সময় পার করছেন। কেউ এটা নিয়ে ব্যস্ত কেউ ওটা নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো রাজনীতি নয়। দলের এই দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অধিকাংশ নেতাই দায়সাড়া। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে। তিনি খুবই অসুস্থ। সিনিয়র নেতারা দলের জন্মদাতার জন্মদিনই পালন করে না আর নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করবে কিভাবে।

সচেতন মহলের মতে, টানা তিনবার ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি। যারা একসময় দেশ পরিচালনা করেছে তাদের এখন নাজেহাল অবস্থা। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেতে হলে সক্রিয় থাকতে হবে। নিজ দলীয় প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন যদি তারা পালন না করে তাহলে ক্ষমতার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।

এসএমআর/এসএমআর