আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে পৃথক অভিযানে ৫ চাঁদাবাজ গ্রেফতার

পৃথক অভিযানে ৫ চাঁদাবাজকে  গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ এবং বন্দর থানাধীন মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে ০৫ জন’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। হুমায়ুন কবির (৩৭), ২। আসাদ মোল্লা (৪৭), ৩। জামাল (৩৮) ৪। মোঃ কাজী এরশাদুজ্জামান (৩৬) এবং ৫। আব্দুর রহিম (৪৮)। এ সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির সর্বমোট নগদ ২১ হাজার  ৯শ ৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে  নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব -১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান,  একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডস্থ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস ও সিএনজি থামিয়ে গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১০০/- থেকে ২০০/- টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উক্ত চুাদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। হুমায়ুন কবির, ২। আসাদ মোল্লা ও ৩। জামাল’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ৮,৭৪০/- টাকা জব্দ করা হয়। চুাদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে বন্দর থানাধীন মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য ১। মোঃ কাজী এরশাদুজ্জামান ও ২। আব্দুর রহিম’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ১৩,২০০/- টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক প্রতি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা হতে ৮০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। আসামীরা এরূপ অপতৎপরতা পূর্বে হতে করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে পরিবহন চালকরা অতিষ্ঠ।

তিনি আরো জানান , ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধকল্পে গত জুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ হতে এই পর্যন্ত র‌্যাব-১১ এর ধারাবাহিক অভিযানে মোট ৩২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৯০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।  গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।