নবকুমার:
দেশের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন’ বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকায় লিখিত অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে শুনানি গ্রহণ করেন জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী স্বয়ং।
এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩৮ জনের গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এদের অধিকাংশই ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তবে কারও কারও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও গেজেট হয়েছে।
পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নানা সময়ে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীতে যোগদানকৃত গেজেটভুক্তির বিষয়ে ৪৮ জনের বিষয়ে উপস্থাপন করা হলে এসব বাহিনী গেজেট বাতিলের সুপারিশ করে। এসব সুপারিশ অনুমোদন করেছে জামুকা।
গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনার মো. ইসরাইল (গেজেট নং-১২৪৭), মো. জাহাঙ্গীর আলম খান (সেনা-২৪৯৩)। মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৯৪), মো. ইয়াকুব আলী (৪৫৬), মো. আক্তার আলী রাঙ্গা (২২৯৮), মো. আমিরুজ্জামান খান খোকা (৪৩২), মো. আবু তাহের (১৬৭১), মো. ফজলুর রহমান (২৩৭৩), মো. নওশের আলী (২০২৫), মো. আব্বাস মিয়া (২২৪৪), মো. আ. জলিল শেখ (২২৭৯), মো. আজিজুর রহমান (১০৩৯), মো. মজিবর রহমান (৬৯২) ও খন্দকার মকবুল হোসেন (সনদ-ম-১৬২০১৬)।
গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সরকারি প্রতিষ্ঠান জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) ৬৬তম অনুষ্ঠিত সভায় তাদের সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জামুকার চেয়ারম্যান আ ক ম মোজাম্মেল হক।