ফতুল্লায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে তালা মেরে বাইরে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন স্বামী। ওই সময়েই ঘটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা। আগুনে পুড়ে যায় ওই ঘর সহ অন্তত ২০টি বসত ঘরে। অন্য ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয় আর মারা যায় ঘুমন্ত থাকা সেই স্ত্রী। বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় বের হতে পারেননি তিনি।
২২ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার ইউনুছ সর্দারের টিনের দু’তলা বাড়িতে রহস্যজনক এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি অগ্নিকান্ডে নিহতের স্বামী ও পরিবারের খোঁজখরর নিয়ে তাদেরকে সান্তনা দেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে অনুদান দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
নিহত গার্মেন্টকর্মী সম্পা আক্তার (২০) ওই বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া সুমন মিয়ার স্ত্রী। তাদের মধ্যে সম্পা আক্তার মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পলমা গ্রামের সোহরাব মিয়ার মেয়ে এবং সুমন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লার এ বাড়িতে বসবাস করে গার্মেন্টে কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ কাজল মিয়া জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় ওই বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া সুমন মিয়া তার গার্মেন্টকর্মী স্ত্রী সম্পা আক্তারকে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। এর কিছুক্ষন পরই সুমনের ঘর থেকে আগুন ধরে পুরো বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সম্পা ঘরেই দগ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।