রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একনাম কীর্ত্তন ও লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টান-মুশুরী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, টান-মুশুরী এলাকার সার্বজনীন পূজা মন্দিরে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত একনাম কীর্ত্তন ও লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন হরিহর সরকারসহ তার সমর্থকরা। একই স্থানে অপর পক্ষের বিনয় অধিকারীসহ তার লোকজনও ওই কীর্ত্তনের আয়োজন করেন। একই স্থানে দুই পক্ষের একনাম কীর্ত্তন ও লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের আয়োজনকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো তাদের দুই পক্ষের মাঝে।
দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে হরিহর সরকার, অনিল, তমালিকা, বিনয় অধিকারী, গোপাল অধিকারী, লনী সরকারসহ অন্তত দশ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে মন্দিরের ভেতরে থাকা বেশ কয়েকটি ছবি ছিড়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আর এ ঘটনা একে অপরকে দোষারুপ করছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ রূপগঞ্জ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। এক পক্ষের বাদী হরিহর সরকার। আরেক পক্ষের বাদী বিনয় অধিকারী।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।