১৭ বছরের এক কিশোরী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, তাকে ধর্ষণ করেছে ৩২ বছর বয়সী এক যুবক। ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ জানায় ওই কিশোরী। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এরপরই স্তম্ভিত হয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কারণ, কিশোরীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো অভিযুক্ত কোনও যুবক নয়, বরং পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা এক তরুণী!
চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। অভিযুক্ত তরুণীর নাম সুমলতা। সুমলতাই পুরুষ সেজে সাই রমেশ রেড্ডি নামে ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ জমায়। পরে সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে।
কিন্তু ওই যুবতী কিশোরীটিকে ধর্ষণ করল কী করে?
স্থানীয় পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বি রবি চন্দ্র জানান, পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা সুমলতা সেক্স টয়ের সাহায্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।
পুলিশ জানায়, সুমলতা পুরুষের কণ্ঠস্বরে কথা বলায় পটু। তাই সহজেই পুরুষের ছদ্মবেশে মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করত সে।
তদন্তে জানা গেছে, স্থানীয় এক সিম কার্ড বিক্রেতার কাছ থেকে ওই কিশোরীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সুমলতা। ঘটনায় ভামসি কৃষ্ণ নামের ওই সিম কার্ড বিক্রেতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত তরুণী বিবাহিত। স্ত্রীর অপকর্মের কথা জানতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণীর তৃতীয় স্বামী। আপাতত পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে ছদ্মবেশী সুমলতা।
সূত্র: জিনিউজ