নিজস্ব প্রতিবেদক:
জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানো ও ধর্ষণের অভিযোগে মিলন হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৭ অক্টোবর রাতে শহরের নিতাইগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (৮ অক্টোর) তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার মিলন হোসেন (৪০) সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার মৃত আলী হোসেন বেপারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও আরও অনেক নারীর সাথে প্রতারণাপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষটি আলোচনায় রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পূর্বে বিবাহিত থাকার পরেও দুইজনের সম্মতিতে গত ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল বিশ লাখ টাকা দেন মোহরে ইসলামী শরীয়ত মতে বাদী ও আসামির পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দেনমোহর বিশ লাখ টাকা ধার্য হলেও প্রতারণার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা লিখে বাদীকে না জানিয়ে কাবিননামা তৈরি করেন আসামি মিলন হোসেন। এদিকে ২০১৭ সালে বাদী অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান তার স্বামী মিলন। পরে আবারও তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে মিলন তাকে নিয়ে শহরের টোকিও প্লাজার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। এবারও গর্ভপাত ঘটাতে চাইলে বাদী অসম্মতি জানান এবং প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করলে বাদীর উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মিলন এবং গর্ভপাত না ঘটালে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। পরে চলতি বছরের ১ এপ্রিল তালাকনামার একটি কপি দেখায় সেলিম এবং বলে সে বাদীকে তালাক দিয়েছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এমন অবস্থায় বাদী আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাদীর বাসায় আসামি তাকে নানাভাবে ফুসলিয়ে আবারও বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই রাতে বাদীর সাথে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করেন আসামি। পরদিন হতে আবার বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আসামি। মোবাইলে যোগাযোগ করলে বাদীকে নানা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি প্রদান করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ, জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানো ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর, মিলন হোসেনের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। সে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।