আজ শুক্রবার, ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শামীম ওসমানের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল জি কে শামীমের

নারায়নগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের সঙ্গে আটক হওয়া জি কে শামীমের একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলস্থূল চলছে। নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে জি কে শামীম পরিচয় দিতেন। এমনকি শামীম ওসমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কি সম্পর্ক ছিল শামীম ওসমানের সঙ্গে? তার সঙ্গে কি কোন ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল?

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শামীম ওসমানের সঙ্গে জি কে শামীমের কোন ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল না। বরং শামীম ওসমানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সেলিনা হায়াত আইভীকে কুপোকাত করার জন্য জি কে শামীমকে রাজনীতিতে আনতে চেয়েছিলেন শামীম ওসমান। অবশ্য এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন জি কে শামীমই।

জি কে শামীম নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হতে চেয়েছিলেন। পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভীকে মনোনয়ন না দিয়ে তাকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয় সেজন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন জি কে শামীম। এজন্য একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে দেন দরবার করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানা যায়। অবশ্য কারো কাছ থেকে তিনি ইতিবাচক আশ্বাস পাননি।

শামীম ওসমানের সঙ্গেও তিনি নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। জানা গেছে যে, এই আগ্রহ প্রকাশের মূল কারণ ছিল জি কে শামীম জানতেন, শামীম ওসমানের সঙ্গে সেলিনা হায়াত আইভীর সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। এই দুই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার খারাপ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নারায়নগঞ্জের কর্তৃত্ব দখল করতে চেয়েছেন জি কে শামীম। এ লক্ষ্যে জি কে শামীম নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন কর্মসূচী এবং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে।

যদিও নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগ থেকে এখন অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতারই জি কে শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং জি কে শামীম যেন মেয়র পদে মনোনয়ন পায় সেজন্য তারা চেষ্টা তদবির করবেন বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

অবশ্য শামীম ওসমান তাকে কোন আশ্বাস দিয়েছিলেন কিনা এ ব্যাপারে কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার একমাস আগে যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আশ্বাস চেয়েছিলেন। জানা গেছে যে, জি কে শামীম যুবলীগের ওই নেতাকে বলেছিলেন যে, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে তিনি ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে টাকার কোন অভাব হবে না। যত টাকা লাগে তা তিনি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কোন নেতাই সেলিনা হায়াত আইভীর মতো পরিচ্ছন্ন নেতার বদলে জি কে শামীমের মতো টেন্ডার মাফিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

সর্বশেষ সংবাদ