নবকুমার:
এই লজ্জা আমার, আপনার সবার। বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি গুলি করে কর্নেল ফারুককে ‘অল আর ফিনিশড’ বলে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন বজলুল হুদা। পরবর্তীতে এই হুদা এক সমাবেশে বলেছিল, ” শেখ মুজিবকে আমি নিজের হাতে গুলি করে মেরেছি। কার সাধ্য আছে আমার বিচার করে? এ দেশে শেখ মুজিব হত্যার বিচার কোনোদিনই হবে না। সেদিনই এ দেশে শেখ মুজিব হত্যার বিচার হবে, যেদিন আমার হাতের তালুতে চুল গজাবে।”
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর সেই কুলাঙ্গারের বিচার হয়েছে। ২০১০ সালে ফাসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে জাতির জনকের হত্যাকারী এই কুলাঙ্গার বজলুল হুদার কবরের এপিটাফে এখনো খোদাই করে লিখে রাখা হয়েছে ‘শহীদ’ এবং ‘জাতীয় বীর’। বাঙালি জাতির পিতার খুনি যদি জাতীয় বীর হয় । তাহলে অন্যরা কি ? এই প্রশ্ন সারা দেশে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে যারা খুনি হুদার নামের পাশে শহীদ এবং জাতীয় বীর লিখেছেন তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা। শুধু তাই নয় দ্রুত খুনি বজলুল হুদাসহ বঙ্গবন্ধুর অন্য খুনিদের নামের পাশে জাতীয় বীর এবং শহীদ লেখা আছে তা প্রশাসনকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের ধিক্কার জানাই। এখন পর্যন্ত তারা জাতির পিতার খুনির নামের সাথে জাতীয় বীর এবং শহীদ লেখা থাকা স্বত্বেও কোন প্রতিবাদ এবং লেখা অপসারণ করে নাই।