পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ ইন্দুরকানীতে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপ দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে টান টান উত্তেজনা পুলিশ ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেয়ায় পুলিশের সহয়তায় নুতন কমিটির নেতৃবৃন্দ ঢুকেছে দলীয় কার্য়ালয় ।
মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান ছগির ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসরাফিল খান নেওয়াজের নেতৃত্বে নব গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের সমর্থকদের নিয়ে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা সদরে দলীয় কার্য়ালয় আসার সময় থানা সড়কের মোড় এলাকায় পৌছলে পদবঞ্চিত উপজেলা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ দলীয় কার্য়ালয় অবস্থান করছিল বিধায় পুলিশ নবগঠিত কমিটিকে আটকে দেয়।
পরে ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবীবর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্য়ালয় অবস্থানরত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও বিদ্রহী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সরিয়ে দেয়।
তখন নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাঈদুর রহমানকে নিয়ে দলীয় কার্যালয় প্রবেশ করে। তারা দলীয় কার্য়ালয় কিছু সময় অবস্থান করে পুলিশ প্রোটেকশনে আবার চলে যায়।
আতিকুর রহমান ছগির কে ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করায় এক সপ্তাহ ধরে দলের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে নব গঠিত ছাত্রলীগের কমিটিকে দলীয় কার্য়ালয় ঢুকতে বাধা দেয়ার জন্য পদ বঞ্চিত ও বিদ্রোহী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা সাবেক সভাপতি শাহীন হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম লিটন,বর্তমান কমিটির সহ সহসভাপতি শাওন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নেওয়াজ সহ নেতকর্মীরা উপজেলা সদরের আওয়ামীলীগের দলীয় কার্য়ালয় অবস্থান করেন। এতে সকাল থেকে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম লিটন জানান, গত ১০ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সভপতি মো: জাহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক স্মাক্ষরিত ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কিিম টতে গঠনতন্ত্র বিরোধী ৩২ বছর বয়সী আতিকুর রহমান ছগিরকে সভাপতি সহ ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি করায় আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। ছাত্রলীগের ত্যাগী ও যোগ্য লোকদের দিয়ে কমিটি করার দাবী করছি।
নব-গঠিত ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ছগির জানান, কেন্দ্রী ছাত্রলীগের পরামর্শে জেলা ছাত্রলীগ যে কমিটি দিয়েছে তা প্রতিরোধ করার কোন সুয়োগ নেই। আমরা দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আইনশৃংখলা বহিনীর সহায়তায় দলীয় কার্যালয় অবস্থানের পর আবার নেতা কর্মীদের নিয়ে চলে আসছি। কেহর সাথে কোন বাধার সৃষ্টি হয় নি। ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের নুতন কমিটিকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে দলীয় কার্যালয় অবস্থানরত পদবঞ্চিত গ্রুপ কে সরিয়ে দিলে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয় প্রবেশ করে কিছু সময় অবস্থান করে তারা চলে যায় যার ফলে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।