আজ ১ জুলাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজকের দিনটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে।
অবিভক্ত ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের সব সোনালি অর্জন আর ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এ বিশ্ব বিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে সবার সামনে থেকে।
শুরুতে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে শুরু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ৯৮ বছরের পথ-পরিক্রমায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১৩টি অনুষদের অধীনে ৮৪টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৫৯টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ছাড়াও শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার ৩৮৫ জন ও শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ২০১০ জন। এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে দিনটি। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সব বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।
প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। দিনের শুরুতে সকালে কেক কাটেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগের পরিবেশনায় উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন। পরে প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন মল চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। প্রকাশিত স্মারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।