বিপ্লব হাসান : রাক্ষুসে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে রূপগঞ্জ উপজেলাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মঙ্গলবার (১৮জুন) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সাওঘাট অফিসের সামনে এক ঘন্টাব্যাপী রাস্তা বন্ধ করে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সহ¯্রাধিক মানুষ।
আগামী এক মাসের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাবেন বলে তারা জানান। এলাকাবাসী জানান, দেশের উন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে বিষয়টি জনগণের মাঝে তুলে ধরে এর উপকারিতা ব্যবহার বিধি না জানিয়ে প্রি-পেইড মিটার লাগিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করা যাবে না। তারা আরো বলেন, অন্যান্য এলাকায় এ মিটার ব্যবহারের সুফল আমরা দেখে পরে আমাদের এলাকায় এ মিটার লাগাতে দেব। অনেকে মন্তব্য করেন এ মিটারে বিদ্যুৎ বিল অধিক হারে নেয়া হয়। গ্রাহকের অজান্তে মিটারে টাকা শেষ হয়ে গেলে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেক গ্রাহক এ মিটারের অপকারিতা ও ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি আন্দোলনকারীদের একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমরা সাধারণ গ্রাহক। এক মাসের বিদ্যুৎ বিল আটকে গেলেই পরের মাসে লাভসহ টাকা দিতে গায়ে বাঝে।
সেখানে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করার প্রয়োজন কি? যে উন্নয়ণে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। যারা বড় বড় অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায়, তারা বিল নিয়ে কারসাজি করেন। তাদের জন্য প্রি-পেইড মিটার প্রয়োজন। নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রি-পেইড মিটার বিশ্বের ৮২টি দেশে চলমান রয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়সহ উন্নত দেশ গড়ার একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এ মিটার লাগানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন।
প্রি-পেইড মিটার লাগানো মানে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। আমরা বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করেই প্রি-পেইড মিটার লাগাবো। এ সময় আপনারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা করবেন।