মনি ইসলাম:
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই দিনের পর দিন পানি জমে থেকে পথচারিসহ স্থানীয়দের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সদরের রাস্তাগুলো। কিন্তু ড্রেনের পানি নিষ্কাশন বা উন্নত ড্রেন নিয়ে যাদের কাজ করার কথা তাদের জন্য যেন এসব কিছুই না। দেখেও তাদের দেখার কিছু নাই ভান করে বসে থাকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
বৃষ্টির পানিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো হাবুডুবু খেলেও কোন কোন এলাকায় থেকেই যায় এই জলাবদ্ধতা।গতকাল শুক্রবার নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেল এমনই এক চিত্র। চাষাঢ়া মহিলা কলেজের সামনে সব সময়ই জমে থাকে স্যাঁতস্যাতে পানি। বৃষ্টি নেই তাও জায়গাটা সব সময় স্যাঁতস্যাতে, আর বৃষ্টি আসলে তো কথাই নেই এমনটি জানায় স্থানীয় বাসীন্দারা।
সরকারি তোলারাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির মানবিক বিভাগের ছাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে হয় এই ময়লা কাঁদা পানি পা দিয়ে মহিলা কলেজের সামনে থেকেই। আর বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে। ফলে দেখা যায় মানুষ জন রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে করে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।
অন্যদিকে দেখা যায়, চাষাঢ়া হর্কাস মার্কেটে পাশে যে ড্রেনটি আছে তা জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এমন অভিযোগে একজন স্থানীয় দোকানদার জানায়, এখানে যে ড্রেনটি আছে তা দীর্ঘদিন পর পর পরিষ্কার করানো হয়। ফলে ড্রেন থেকে ভেসে আছে পঁচা দূর্গন্ধ এবং বৃষ্টি হলে জমে যায় পানি। নিস্কাশন বিভাগের নীরব ভূমিকা এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় পানি জমতে শুরু করে। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় ওই পানি রাস্তা থেকে নামতে চাই না। সময় মতো ড্রেন পরিস্কার না করায় এমন ভাবে দিনের পর দিন দুর্ভোগ সহ্য করতে হয় বলে জানান ওই এলাকার বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে জানার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমানকে একাধিক বার ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।