সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৯৬৮০ জন (নরী-পুরুষ) কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ২২ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এরই মধ্যে প্রতিটি জেলায় আগ্রহী প্রার্থীদের কনস্টেবল পদে চাকরী পাওয়ার জন্য দৌরঝাপ শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে তদবীর করছেন চাকরী পাওয়ার আশায়। বিগত সময় দেখা গেছে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরী পাওয়ার জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা বিভিন্ন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেছে কনস্টেবল পদ পাওয়ার জন্য।
খবর নিয়ে জানা যায়, সরকারি দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য এলাকাভিত্তিক তালিকা দিচ্ছেন।
জানা যায়, বিগত সময় নারায়ণগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য ২০ জন চাকরিপ্রাথীর কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একট মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ওই মামলায় পুলিশের একজন এএসআইকে গ্রেফতারও করা হয়।
পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেব নিয়োগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আগ্রহীরা এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তবে জেলা পুলিশের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) এরই মধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার যারা যোগ্য শুধু তারাই পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পাবে। চলবে না কোন তদবির। সূত্রে আরো জানা যায়, পুলিশ সুপার অনুরোধ করে বলেছেন, কোন পুলিশ বা যে কোন ভায়া মিডিয়া না ধরতে। শত ভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে এবারের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় সকল পুলিশি কার্যক্রম যেমন মাদক উদ্ধার, সন্ত্রাসী গ্রেফতার স্বচ্ছতার সাথে হচ্ছে ঠিক তেমনি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সথে হবে।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-২) সাজ্জাদ রোমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি তথ্য শেয়ার করেছি তবে আমাদের সুযোগ্য পুলিশ সুপার এই বিষয়ে আগামী দু একদিনের মধ্যে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিলো।