আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চূড়ান্ত আন্দোলনের আভাস না’গঞ্জ বিএনপির

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
প্রায় দেড় বছরের মতো কারাগারে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিন তিন বার রাষ্ট্র পরিচালনা করা এই মহিলাটির বেশ কয়েকটি ঈদ কাটাতে হয়েছে বদ্ধ কারাগারে। অথচ দেশের অলিখিত প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সারা দেশজুড়ে যাদের রয়েছে লাখো নেতাকর্মী। অথচ দীর্ঘদিন দলীয় নেত্রী কারাগারে থাকার পরেও আন্দোলনে যেতে ব্যর্থ হচ্ছিলো তারা। ব্যর্থতা ছিলো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মধ্যেও।

দলটির নেতাকর্মীরা বলেছিলো ঈদের পর দলীয় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামে যাবে তারা। জানা যায়, ঈদের পর বা দিনক্ষণ নয়, দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। আন্দোলনের ধরণ পরিবর্তন করে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নেয়ারও দাবি দলটির নেতাদের।

প্রায় দেড় বছর ধরে দুর্নীতির মামলায় কারাদন্ড ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। তাকে মুক্ত করতে প্রতীকী অনশন-মানববন্ধন, ইফতার পার্টিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে কাজ না হওয়ায় আন্দোলনের ধরণ বদলানোর চিন্তা করছে দলটির নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দর মতে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য যেকোন কঠোর কর্মসূচি দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে হরতাল, রাজপথ, রেলপথ অবরোধ করতে হবে। যে ধরণের কর্মসূচি দিলে সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় অচলায়নের সৃষ্টি হয়, সেই ধরণের কর্মসূচি দিতে হবে। সময় মতো কঠোর কর্মসূচি দৃশ্যমান হবে বলে জানান নেতারা।

বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, তৃণমূল যেমন চূড়ান্ত আন্দোলন চাচ্ছে, আমরাও তাদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করছি। সেটা দিনক্ষণ মেনে আসবে না, যেকোন সময় চূড়ান্ত আন্দোলনের বাঁশি বাজতে পারে। কারণ এর কোন বিকল্প নেই। নীতিনির্ধারকেরা চাইলে যেকোন সময়ই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা যারা আন্দোলন পরিচালনা করবো, নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিবো, তাদের নিজেদেরকে আগে সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যে, আমি এটা করতে চাই। আমাদের ঘাটতিটা কোথায়? সেটা সবার সঙ্গে আলোচনা করে বের করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভ্যানগার্ডখ্যাত নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোন আন্দোলন রাজপথে গড়ে তুলতে পারিনি, যাতে সরকার বাধ্য হবে তাকে মুক্তি দিতে। দলের এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ। কমিটিগুলোকে নতুন করে সাজানো উচিৎ, যাতে করে খুব শীঘ্রই আমরা কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি।

একটি গণ আন্দোলন তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায় হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সহ সারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।