সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিএনপি ক্ষমতায় নেই এক যুগের অধিক সময় । এ সময়ে হামলা, মামলায় শিকার হয়ে যখন অস্তিত্ব সংকটে দলটির প্রধান প্রধান নেতাকর্মীরা, ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে সাখাওয়াত- তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি ।
একটি গ্রুপে রয়েছে এড.তৈমূর আলম খন্দকার অপর গ্রুপে রয়েছে এড .সাখাওয়াত হোসেন। সাখাওয়াত হোসেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি কে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সম্প্রতি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলো। সেই ইফতার মাহফিলে বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসেছিলো । কিন্তু দাওয়াত পেয়েও যান নি বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি চাইলে জেলা বিএনপির সকল দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে পারতেন কিন্তু তা তৈমূর করেন নি। তিনি কোন্দলে জড়াচ্ছেন।
অপর দিকে সাখাওয়াত ঐক্যফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েও পারেন নি।
জানা গেছে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও তিনি জেলার অন্যান্য থানা এলাকার কোন কর্মী কিংবা সমর্থকও মামলায় আসামি হয়ে আদালতে আসলে তার পক্ষেও মামলায় দাড়িয়ে যান সাখাওয়াত হোসেন। আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুর্বার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তবে আদালতপাড়ায় একজন আইনজীবী হিসেবে নয় দেশের রাজনীতিতে বৈরী সময় সেই ১/১১ এর সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির যেসব নেতা হাল ধরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন সাখাওয়াত হোসেন খান। আইন পেশার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মামলা মোকাবেলা করাই তার প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।
যে কারনে দিন দিন তার নেতাকর্মীদের সংখ্যাও বাড়ছে। কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সু-চিকিৎসার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিলে যখন পুলিশ বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে দুহাত সামনে বাড়িয়ে দিয়ে পুলিশের সামনে এসে দাড়িয়েছে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
তিনি বলেন, আমার একজন কর্মীকে নয় আমাকে এরেস্ট করুণ। আমার সামনে থেকে বিএনপির একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করার আগে আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। এ নিয়ে সন্তোষ দেখা যায় সাধারণ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। অন্যদিকে, রাজপথে আন্দোলনে পিছিয়ে নেই তৈমূর আলম খন্দকার।
সর্বশেষ দেখা যায়, সোমবার (১৩ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ সহ ৩৫ নেতাকর্মী। সেখানেও আইনজীবী হিসাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এড. সাখওয়াত।
মূলত নারায়ণগঞ্জ বারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মাঝে বিভেদের সূচনা ঘটে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে। ফোরাম গঠনের ১০ দিনের মাথায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ফোরাম থেকে বেরিয়ে আসেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলয়ের আইনজীবীরা। সকলের ধারনা ছিলো ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে অভ্যান্তরিন কোন্দল কমবে, কিন্তু তা ঝিমিয়ে রেখেছেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার। যিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে অনশন কর্মসূচী করেন। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র ১৫জন আইনজীবী। যাও মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম বলয়ের। তখন দেখা যায়নি সাখাওয়াত বলয়ের আইনজীবীদের। যার ধারাবাহিকতায় পবিত্র রমজানে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আবারও মাথাচাড়া দেয় প্রতিহিংসা।
ইফতার মাহফিলে তৈমূল বলয়ের আইনজীবী দের দাওয়াত পৌছানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে এড. সাাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। ইফতার মাহফিল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা নিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করতে চায় তাহলে সেটা দেখার জন্য আল্লাহ আছে।
এ বিষয়ে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।