আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূর সাখাওয়াত দ্বন্দ্বে দূরত্ব বাড়ছে আইনজীবীদের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

এক সময়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বেশ দাপটে থাকা বিএনপি পন্থী আইনজীবিদের মধ্যে দিন দিন বিরোধ বেড়েই চলছে। সেই বিরোধ দূর করতে রমজান উপলক্ষে ইফতার পার্টির মাধ্যেমে অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি পন্থী আইনজীবিরা। বারবার রাজপথে কর্মসূচী গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়া বিএনপি রমজানে ইফতার পার্টিকে দল গোছানোর কৌশল হিসেবে বেছে নিলেও নিজেদের মধ্যে কোন্দলের ফলে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। আগামী ১৩ মে বিএনপি পন্থী আইনজীবিদের একাংশ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করলেও ওই ইফতার মাহফিলকে বিতর্কিত দালালদের ইফতার পার্টি হিসেবে উল্লেখ্য করে তা বংকটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের অন্যান্য আইনজীবিরা।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানপন্থীরা জাতীয়তাবাদি আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে আগামী ১৩ মে হিমালয় চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ইফতারের আয়োজন করেছেন। সেই ইফতার পার্টিতে বিএনপি পন্থী সকল আইনজীবিদের দাওয়াত করা হলেও বিএনপি পন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নেতৃবৃন্দরা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র জানায়, অতীতের দিন গুলোতে বিএনপি পন্থী আইনজীবিদের মধ্যে দ্বন্দ ছিলো চোখে পরার মতো। একদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অবিভাবক ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর অন্যদিকে সাখাওয়াত পন্থী বিএনপির আইনজীবিরা। সাখাওয়াত পন্থী আইনজীবিরা নিজেদের প্রভাব খাটানোর জন্য আদালত পাড়ায় অনেক আগে থেকেই তোরজোর চালিয়ে যাচ্ছে এমনকি তারা কমিটিও গঠন করেছিলো। তবে কমিটি গঠন করার পরেও ওই কমিটির বিষয়ে কেউ কোন মন্তব্য করেননি। সেই সাথে বিএনপি পন্থী বেশীরভাগ আইনজীবি ওই কমিটিকে সমর্থনও করেননি ফলে বিএনপি পন্থী আইনজীবিদের উভয়ের মধ্যে চরম দ্বন্দ পরিলক্ষিত হয়।

বিষয়টি পরিষ্কার করতে দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকা অফিস থেকে মুঠোফোন করা হয় সাখাওয়াত হোসেনকে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেন নি।

সাখাওয়াত পন্থী আইনজীবি ব্যানারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ক কবির ও খোরশেদ আলাম মোল্লা। তারা সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ইফতার পার্টির আয়োজন করলেও তা বয়কট করেছেন জাতীয়তাবাদি আইনজীবি ফোরাম অর্থ্যাৎ তৈমূর পন্থী আইনজীবিরা। তৈমূর পন্থীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট বারী ভূইয়া, আজিজুর রহমান মোল্লা, আজিজ আল মামুন, শরীফুল ইসলাম শিপলু সহ আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবি।

সাখাওয়াত পন্থীদের ইফাতর পার্টি বয়কটের কারণ হিসেবে তারা বলেন, তারা (সাখাওয়াত পন্থী) আওয়ামী লীগের এজেন্ডা, দালাল। অতীতের নির্বাচনে তারা পত্রিকায় প্রকাশিত ২ কোটি ২ লাখ হিসেবে পরিচিত। তারা নির্বাচন করেছিলো একটি মহলের টাকা নিয়ে। এমনকি যারা ইফকার পার্টির আয়োজন করেছে তারা বিএনপির বিতর্কিত নেতা। এই দালালদের কারণে আজকের বিএনপির রাজনীতি প্রাণহীন।

সাখাওয়াত পন্থীদের ইফতার পার্টি বয়কটের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে মুঠোফোন করা হয় তৈমূর আলমকে। তবে নাম্বার বন্ধ থাকায় বিস্তারিত বিষয় জানা হয়নি।

সচেতন মহলের মতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। অথচ নেত্রীর মুক্তির পক্ষে আন্দোলন না করে নিজেদের কোন্দলেই তারা ব্যস্ত। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ধ্বংসের দিকে চলে যাবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।