সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা টানবাজার। এখানে বিভিন্ন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে রাসায়নিক দাহ্য পর্দাথ, কেমিক্যাল ও সুতার গোডাউন। ভবন গুলো উপর তলায় ও আশেপাশে আবাসিক ফ্লাটে পরিবারের সদস্য নিয়ে বসবাস স্থানীয়রা। কেমিক্যালের গোডাউন গুলো নির্মান করা হয়েছে সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে একটি ভবনের সঙ্গে অন্য ভবন ঘেঁষে নির্মান করা হয়েছে এতে করে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পরিবার গুলো। জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তার নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। অন্য কোথাও বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে কর্তৃপক্ষ অভিযান করে তবে সে অভিযান হয় সীমিত সময়ের জন্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে টানবাজার এলাকায় রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ, রঙ ও সুতা বিক্রিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন বহুতল ভবনে। ভবন গুলোতে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
টানবাজার এলাকার বাসিন্দা রাজিব মিয়া বলেন, এখানে বেশীর ভাগ অলি-গলিতে কোন কারনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে । কর্তৃপক্ষ অভিযান করে দুর্ঘটনার পড়ে।
দিনইসলাম বলেন, এখানে মারাত্মক কেমিক্যাল গোডাউনে আমরা আতংকে থাকি। যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে দূর্ঘটনা। তাই এসকল গোডাউন গুলোর বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে সরকারকে ।
অভিযানের বিষয়ে নারায়নগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সেফটি) বলেন, কেমিক্যাল গোডাউন গুলোতে সুনিদিষ্ট অভিযোগ না থাকলে পরিদর্শন করা হয় না। তবে আমাদের লোকবল সংকট আছে তার জন্য আমরা অভিযান করছি না ।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরির্দশক মো.মঈনুল হক বলেন,কারখানা একটা, আর গোডাউন আরেকটা,কেমিক্যাল গুদামজাত করলে আমরা মামলা করতে পাড়ি তবে মামলা পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল নাই তাই আমাদের কিছুই করার নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর টানবাজার এলাকার নাসিকের মালিকানাধীন পদ্মা সিটি প্লাজা-১ এর ১০ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ইউসিবি ব্যাংকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সেলিম (৪৫) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়।